ফরিদপুরের নগরকান্দায় উপজেলা ও ইউপি চেয়ারম্যান এর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের নগরকান্দায় উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যান সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। রোববার সকালে উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের আটাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষকারীরা এ সময় ৭/৮ টি বসত বাড়ী ভাংচুর করে। আহতদের নগরকান্দা উপজেলা হাসপাতাল ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
জানাগেছে এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি, নগরকান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান সরদারের সমর্থিত আটাইল গ্রামের সলেমান মাতুব্বরের গ্রুপের সাথে ডাঙ্গী ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালামের সমর্থিত নুরু মাতুব্বরের দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। রোববার সকালে উভয় গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন। ততক্ষনে সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের নগরকান্দা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তাদের মধ্যে মিজান খন্দকার, কুদ্দুস শেখ, হান্নান, খোরশেদ আলম, ইয়ার আলী ও কাউছার মাতুব্বরের আবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদেরকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোয়েন রয়েছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান সরদার বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান কালাম কাজীর হুকুমে আমাদের সমর্থিক লোকজনের উপর হামলা চালিয়ে মারপিঠ করে আহত করে। এসময় হামলাকারীরা আমার সমর্থিত কয়েকটি বাড়ী ভাংচুর করে লুটপাট করে নেয়।
ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাই বাদল সরদার নিজে উক্ত গ্রামে গিয়ে তার লোকজন নিয়ে আমার সমর্থিত লোকজনের উপর হামলা চালায়। আমার লোকজন পাল্টা হামলা চালালে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। নগরকান্দা থানার ওসি শেখ সোহেল রানা বলেন, দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনেছি। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে। উল্লেখ্য নগরকান্দার উপজেলা চেয়ারম্যান ও ডাঙ্গি ইউপি চেয়ারম্যান এর সমর্থকদের মধ্যে প্রায়ই এলাকার আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এতে সমর্থকরা আহত সহ বাড়িঘড় ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটে থাকে।
« ফরিদপুরে অটো চুরির অভিযোগে গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যু (পূর্বের খবর)