প্রধান মেনু

সবজি একটি সম্ভাবনাময় সেক্টর — কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সবজি এ দেশের একটি সম্ভাবনাময় সেক্টর ও অর্থনীতির একটি বিশেষ দিক। এর মাধ্যমে দেশের রপ্তানি আয় বৃদ্ধি করা যাবে। শুধু গার্মেন্টসের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে সরকার কৃষি-সহ অন্যান্য সেক্টরকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে। আজ রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) অডিটোরিয়ামে জাতীয় সবজি মেলার সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমাদের কৃষিকে লাভজনক করতে হবে, এটাকে বহুমুখীকরণ করতে হবে। অন্যান্য মূল্যবান অপ্রচলিত ফসলগুলো উৎপাদন করতে হবে। সবজি উৎপাদনে একটু খরচ বেশি। তবে আমাদের বিজ্ঞানীরা এবং যারা সবজি নিয়ে কাজ করে, তারা মেলায় অনেকগুলো প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে। একটু সময় লাগবে, আস্তে আস্তে খরচ কমে আসবে। যারা উৎপাদন করছে তারা এটাকে লাভজনক করার জন্য ফেরোমন, নিম-সহ অন্যান্য জৈব উপাদান ব্যবহার করছে, যা মানুষের শরীরের জন্য নিরাপদ ও স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। সবজি উৎপাদনের প্রযুক্তি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে, শুধু বাংলাদেশের মানুষের চাহিদা নয়, আন্তর্জাতিক বাজারেও রপ্তানি করতে পারবো। পেঁয়াজ সম্পর্কে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষি প্রকৃতিনির্ভর। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আমাদের পেঁয়াজ উদ্বৃত্ত হবে। আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে বলেছি পেঁয়াজের মৌসুমে পেঁয়াজ আমদানি না করতে। আমাদের নজরদারি করতে হবে, তবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।

বিশেষ অতিথি পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ. মান্নান বলেন, অর্থনীতির মেরুদণ্ড হচ্ছে কৃষি। খাদ্য উৎপাদনই প্রধান এ দিন এখন শেষ।এখন নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদনের দিন। কৃষি সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান। ‘পুষ্টি ও সুস্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ সবজি চাষ’ বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের সাবেক পরিচালক ড. শাহাবুদ্দীন আহমদ। মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুল মুঈদ। কৃষিমন্ত্রী এর আগে কেআইবি চত্বরের তিন দিনের জাতীয় সবজি মেলা ২০২০ এর উদ্বোধন করেন। তিনি এ সময় বিশেষ অতিথি ও কৃষি সংশ্লিষ্টদের নিয়ে মেলার বিভিন্ন স্টল ও প্যাভিলিয়ন ঘুরে দেখেন।