শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন শিল্প কারখানার সম্পদসমূহের সর্বোচ্চ ব্যাবহার নিশ্চিত করতে হবে। এসব শিল্পকারখানার অব্যবহৃত জমিতে নতুন শিল্প স্থাপন করে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। এজন্য দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার জন্য মন্ত্রণালয় ও দপ্তর-সংস্থাসমূহের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের প্রতি তিনি নির্দেশ প্রদান করেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ২০১৯-’২০ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির নভেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শিল্প সচিব মোঃ আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার । খোলাস্থানে সার যাতে নষ্ট না সেজন্য বাফার গোডাউন সমূহের কাজ দ্রুত সমাপ্ত করার নির্দেশনা প্রদান করেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। স্টিল অবকাঠামো দ্রুত নির্মাণের জন্য দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়ার বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনায় রাখার আহ্বান জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের সর্বত্র পণ্য ও সেবার মান নিশ্চিত করতে বিএসটিআইকে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে। এজন্য অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য বিএসটিআইকে নির্দেশনা প্রদান করেন প্রতিমন্ত্রী। এর পরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলসমূহের উন্নয়ন সংক্রান্ত পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের অধীনে উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন নতুন চিনিকল স্থাপন করা হবে। শিল্প সচিব মোঃ আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সভায় জানানো হয়, বিদ্যমান সরকারি সুগার মিলগুলোর মেয়াদকাল উত্তীর্ণ হওয়ায় নতুন চিনিকল স্থাপন করে চিনির উৎপাদন বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে বিদেশের কিছু প্রতিষ্ঠানের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে ফিজিবিলিটি স্টাডি পরিচালনা করা হয়েছে। স্টাডি রিপোর্ট মন্ত্রণালয়ে আসলে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।