বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ২ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর) : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে আমি এ বাহিনীর সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। বীরত্ব ও ঐতিহ্যে গৌরবমণ্ডিত ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ বিজিবি’র রয়েছে সুদীর্ঘ দু’শ চব্বিশ বছরের সমৃদ্ধ ইতিহাস। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে এ বাহিনীর রয়েছে অবিস্মরণীয় অবদান।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাক-হানাদার বাহিনী ঢাকার পিলখানাস্থ তৎকালীন ইপিআর সদর দপ্তর আক্রমণ করে। ইপিআর সদর দপ্তর থেকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা ওয়্যারলেসযোগে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেয়া হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ এবং বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফসহ এ বাহিনীর ৮১৭ জন অকুতোভয় সদস্য আত্মোৎসর্গ করে দেশপ্রেমের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে গৌরবময় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বাহিনীকে ২০০৮ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা হয়।
দেশমাতৃকার প্রয়োজনে বিভিন্ন সময়ে বিজিবি’র যে সকল সদস্য আত্মত্যাগ করেছেন আমি তাঁদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি এবং তাঁদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করছি। দেশের সীমান্ত রক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধ, নারী-শিশু এবং মাদক পাচার প্রতিরোধে বিজিবি সীমান্তে নিরবচ্ছিন্ন দায়িত্বপালন করে যাচ্ছে। দুর্যোগকালীন উদ্ধার কার্যক্রম ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানেও বিজিবি প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে। বিজিবি’কে একটি আধুনিক সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসাবে গড়ে তুলতে সরকার প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন-২০১০’ প্রণয়ন ও ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১’ পরিকল্পনা গ্রহণের ফলে এ বাহিনীর সার্বিক কর্মকাণ্ডে গতি সঞ্চারিত হয়েছে।
সরকারের এসকল পদক্ষেপ বিজিবি’র অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি। দেশের স্বার্থ সমুন্নত রাখতে বিজিবি’র সকল সদস্য নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ হয়ে দায়িত্বপালন করবেন – এটাই সকলের প্রত্যাশা। আমি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’র অব্যাহত সাফল্য কামনা করি। খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”