ওয়াশিংটনে বিজয় দিবস উদ্যাপিত
ওয়াশিংটন ডিসি, ১৭ ডিসেম্বর : দেশমাতৃকার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা, দেশপ্রেম এবং উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে গতকাল ৪৯তম বিজয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। সকালে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন পতাকা উত্তোলন করেন। রাষ্ট্রদূত দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ ভাস্কর্যে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
পরে এক আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত বলেন, পাকিস্তান সামরিক জান্তা বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগের কাছে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়ে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ নিরস্ত্র বাঙালির ওপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক এবং ধর্মনিরপেক্ষ সমাজ প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষাকে স্তব্ধ করার জন্যই পাকিস্তান সেনাবাহিনী বর্বর আক্রমণ পরিচালনা করে। হানাদার বাহিনীর পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডে বিশ্ববিবেক স্তব্ধ হয়ে যায়। তিনি নির্যাতিত বাঙালির পক্ষে অবস্থান নেয়া সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডি, ঢাকায় নিযুক্ত প্রাক্তন কনসাল জেনারেল আর্চার ব্লাড, সংগীত শিল্পী জর্জ হ্যারিসন এবং কবি অ্যালেন গিনসবার্গসহ যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের কথা এসময় স্মরণ করেন। ঢাকা-ওয়াশিংটন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে চমৎকার উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত দু’দেশের সহযোগিতাকে নতুন নতুন ক্ষেত্রে আরো বিস্তৃত করার ওপর জোর দেন।
অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ১৫ আগস্টে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যবৃন্দ, জাতীয় চারনেতা এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দূতাবাসের পরিবারবর্গ, বর্ণমালা স্কুল ও সৃষ্টি নৃত্যাঙ্গনের শিল্পীরা সংগীত এবং নৃত্য পরিবেশন করেন। বিদেশি কূটনৈতিকবৃন্দ, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তাবৃন্দ, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
