প্রধান মেনু

সৈয়দপুর ১৫০ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৫টি গাছ টেন্ডার ছাড়াই মাত্র ২১ হাজার টাকায় বিক্রি

শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী প্রতিনিধি ॥ নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের ১৫০ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিপনন কেন্দ্রের ৫টি গাছ কোন প্রকার টেন্ডার ছাড়াই বিক্রি করা হয়েছে। প্রায় ১০ লাখ টাকা মূল্যের ওই গাছ মাত্র ২১ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। এতে যেমন পত্রিকায় টেন্ডার না দেওয়ার অনিয়ম করা হয়েছে তেমনি একেবারে পানির দামে গাছ বিক্রি করায় সরকার রাজস্ব থেকেও বঞ্চিত হয়েছে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, প্রধান ফটকের পাশেই প্রতিষ্ঠানের রেস্ট হাউজ সংলগ্ন একটি আম গাছ, ২টি কাঠাল গাছ ও ২টি শিশু গাছ পত্রিকায় কোন প্রকার বিক্রয় বিজ্ঞপ্তি না দিয়েই মৌখিকভাবে বিক্রি করেছেন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ম্যানেজার বা নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাঈদ। ওয়াপদা নতুনহাট এলাকার সাবদুল নামে এক গাছ ব্যবসায়ী ওই গাছগুলো মাত্র ২১ হাজার টাকায় কিনে কেটে নেয়। পরে গাছগুলো রফিকুল ইসলাম নামের কয়াগোলাহাট এলাকার পাইকার মাত্র ৩৫ হাজার টাকায় কিনে নেয়।

এভাবে কোন প্রকার পরামর্শ বা নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সকলের সম্মতিক্রমে গাছ কাটার বিষয়ে সিদ্ধান্ত না নিয়ে একেবারে নিজের ইচ্ছেমত নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাঈদ গাছ বিক্রি করায় প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের অনেকের এ ব্যাপারে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ১০ লাখ টাকার গাছ মাত্র ২১ হাজার টাকায় বিক্রি করায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তাছাড়া ২টি ফলজ গাছ কোন প্রয়োজন ছাড়াই হঠাৎ করে কেটে ফেলা হলো অথচ প্রতিষ্ঠানের কেউ জানতেই পারলনা। এতে বিষয়টি নিয়ে সর্বত্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকের মন্তব্য নির্বাহী প্রকৌশলী গোপন আতাতের মাধ্যমে গাছগুলো বিক্রি করে নিজে সুবিধা নিয়েছেন। ২১ হাজার টাকায় গাছ বিক্রির কথা বলা হলেও তিনি আরও বেশি টাকা দিয়েই গাছ বিক্রি করেছেন। অতিরিক্ত টাকা তিনি পকেটস্থ করেছেন। যা সম্পূর্ণভাবে অনিয়ম ও দূর্নীতি।

এ ব্যাপারে সৈয়দপুর ১৫০ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিপনন কেন্দ্রের সহকারী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, গাছ কাটার ব্যাপারে আমার কিছুই জানা নেই। এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাঈদ স্যারের সাথেই যোগাযোগ করেন। পরে নির্বাহী প্রকৌশলী ও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ম্যানেজার আবু সাঈদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।