অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গঠন করার জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে আরো তৎপর হতে হবে। এলক্ষ্যে সকল প্রকার নাগরিক সেবা নিশ্চিতের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর উন্নয়ন করতে হবে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক খাতে পিছিয়ে পড়া দেশগুলোর জন্য খাতওয়ারী চাহিদাভিত্তিক অর্থায়ন নিশ্চিত করতে হবে। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে আজ তিন দিনব্যাপী ‘বুসান ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ ফোরাম ২০১৯’ ও ‘কার্যকর উন্নয়ন সহায়তার লক্ষ্যে বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব’ বিষয়ক ১৮তম স্টিয়ারিং কমিটির সভায় কো-চেয়ার হিসাবে বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০৩০ এর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আর মাত্র এক দশক বাকি আছে। সরকার আমাদের যুব সমাজ ও পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য কাজ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। দেশের নাগরিকদের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক খাতে অবকাঠামো উন্নয়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সরকার। তিনি বলেন, প্রত্যেক দেশের নিজস্ব যে সম্পদ আছে তা থেকে সুবিধা নেয়ার ক্ষেত্রে কোন প্রকার অন্তরায় সৃষ্টি করা উচিত নয়। আমাদের উৎপাদিত পণ্য চলাচলে অহেতুক বাধাও কাম্য নয়। বিশাল কর্মঠ জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের সম্পদ এ কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশে বিদেশে এ জনশক্তির কাজের ব্যবস্থা করে দিতে হবে এবং সেক্ষেত্রে কোন প্রকার বাধা দেয়া যাবে না। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর সাথে যুক্ত হওয়া মায়ানমার থেকে আগত এক মিলিয়নের মত যে রোহিঙ্গা আছে তাদের সমস্যার দ্রুত সমাধান জরুরি।