আলু রপ্তানি বিষয়ে সার্বিক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ঢাকা, ১৯ অগ্রহায়ণ (৪ ডিসেম্বর) : কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আলু প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানির মাধ্যমে এই খাতকে লাভবান করতে হবে। ফ্রেন্চ ফ্রাই ও চিপসের চন্য আলুর জাত আবাদ করতে হবে। রাশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় দ্রুত আলু রপ্তানির ব্যবস্থা গ্রহণের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, আরো নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি করতে হবে। অন্যান্য দেশে কি জাতের আলুর চাহিদা রয়েছে তা জানতে হবে এবং আমাদের দেশে সেই জাত আবাদ করতে হবে। তিনি আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আলু রপ্তানির বিষয়ে সার্বিক পর্যালোচনা সভায় এসব কথা বলেন। সভায় বর্তমান মৌসুমে আলু রপ্তানি ক্ষেত্রে গৃহিত উদ্যোগ ও পদক্ষেপ সম্পর্কে মন্ত্রী জানতে চান।
কৃষিমন্ত্রী জানান, আলু রপ্তানির লক্ষ্যে আমদানিকারকদের চাহিদার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) ডিসেম্বরের মধ্যে একটি অ্যাক্রিডেটেড ল্যাব স্থাপন করা হবে । দেশে গবেষণা করে এ প্রর্যন্ত ৯১টি আলুর জাত অবমুক্ত করা হয়েছে জানিয়ে প্রসেসিং করে আলু রপ্তানির উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী। রাজ্জাক বলেন, রপ্তানি উপযোগী আলু পেতে হলে কন্ট্রাক্ট ফারর্মিং এ যেতে হবে। সরকার রপ্তানি উপযোগী আলুর বীজ অবমুক্তির সময়সীমা তুলে নিয়েছেন। এখন যে কেউ রপ্তানি উপযোগী আলুর জাত আবাদ করতে পারবে। রোগ বালাইয়ের ক্ষেত্রে গবেষণা প্রতিষ্ঠান তদারকি করবে।
যে কোন মূল্যে আলু রপ্তানির উদ্যোগ নিতে হবে। এব্যাপারে সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। সভায় জানানো হয়, আলুর উৎপাদন বছরে ৫ দশমিক ১৯ শতাংশ হারে উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষি সচিব মো: নাসিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় আলু উৎপাদনকারী, রপ্তানিকারক, আলুবীজ উৎপাদনকারী এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, সংস্থার প্রধানগণ ও কৃষি বিজ্ঞানী, গবেষক কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।