বস্তি উচ্ছেদ করতে হলে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে —- যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম

মোঃ শাহজালাল দেওয়ান, টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ গাজীপুর মহানগর যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম বলেছেন, বস্তি উচ্ছেদ করতে হলে বস্তিবাসীদের ক্ষতিপূরণ দিয়েই করতে হবে। তিনি আরও বলেন, কাঠালদিয়া বস্তিবাসীর পাশে আমি আছি। কোন মাস্তান, খুনি, লুটেরা আপনাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, আমার রাজনীতি শুধু গাজীপুরে নয়, আমি সারাদেশের গরীব-দু:খী মানুষের জন্য রাজনীতি করি। আমি টঙ্গী-গাজীপুরবাসীর জন্য এমন কাজ করবো যাতে সারাজীবন মানুষ আমাকে মনে রাখে। তিনি বলেন, আপনার সমাজের খেটে খাওয়ার গরীর-অসহায় মানুষ। অনৈতিকভাবে আপনাদের কেউ বস্তি থেকে উচ্ছেদ করতে পারবে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের গরীব-দু:খী মানুষের জন্য রাজনীতি করে। কিন্তু টঙ্গীর কতিপয় সন্ত্রাস, হত্যা মামলার আসামী ও মাস্তান শ্রেণির লোক পুলিশের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক বস্তিবাসীকে উচ্ছেদের পায়তারা করছে। তিনি বস্তিবাসীদের অভয় প্রদান করে আরও বলেন, বস্তি থেকে আপনাদেরকে যদি কেউ জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে দেয় তাহলে যতদিন দরকার ততদিন আপনারা আমার বাড়িতে থাকবেন। ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা, পুর্নবাসন ছাড়া বস্তি উচ্ছেদ চলবে না,’এস্লোগানকে সামনে রেখে টঙ্গীর কাঠালদিয়া বস্তি উচ্ছেদের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থানীয় দেওড়া এলাকায় এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে আরও বক্তব্য রাখেন আসকর আলী, মফিজ উদ্দিন, আব্দুর রব, সফিউল্ল্যাহ, রতন মিয়া, গোবিন্দ দাস, মানিক শেখ, শাহ আলম, হারিজ মিয়া, রেখা আক্তার, আনোয়ারা বেগম, রেহেনা বেগম, কুলসুম আক্তার প্রমুখ।
বস্তিবাসীরা জানায় বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নদী ভাঙ্গন, ঘরবাড়ী হারিয়ে টঙ্গীর ওই বস্তিতে ঘর করে ছেলে-মেয়েদেরকে নিয়ে বসবাস শুরু করে। বিগত দিনে দিনে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের বস্তিটি যখন ভেঙ্গে ভেলে তখন বস্তির লোকস্থলে, বিভিন্ন স্কুল মাদ্রাসার বারিন্দায় আশ্রয় নেয়। কয়েকদিন পর তারা কাঠালদিয়া একটি সরকারী খালি জায়গায় ঘর করে স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস কের। কিন্তু কয়েকদিন যাবত একটি প্রভাবশালী কু-চক্রী মহল, বস্তিগুলো দখল করার পায়তারা করছে। বস্তিবাসী জানায় ৩০ বছর যাবত তারা এই বস্তিতে বসবাস করে আসছে। এই মুহুর্থে বস্তি দখল করলে তারা যাবে কোথায়? তাদের দাবী তাদের পুর্নবাসন ছাড়া বস্তি ভাঙ্গতে দেওয়া হবে না। যদি কেউ বস্তি
ভাঙ্গতে আসে তাদের বাধা দেওয়া হবে এবং বিহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।