প্রধান মেনু

জাতীয় আয়কর দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ১৪ অগ্রহায়ণ (২৯ নভেম্বর) : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ জাতীয় আয়কর দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী
প্রদান করেছেন : ‘‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে জাতীয় আয়কর দিবস পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি সম্মানিত করদাতা ও কর বিভাগের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। পৃথিবীর সকল উন্নত রাষ্ট্রের প্রধান রাজস্ব উৎস হিসেবে বিবেচিত হয় প্রত্যক্ষ কর বা আয়কর।

বাংলাদেশ রূপকল্প ২০২১ এবং রূপকল্প ২০৪১ এর পথ ধরে সুখী-সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার পথে অগ্রসর হচ্ছে। এ লক্ষ্য অর্জনে বাস্তবায়িত হচ্ছে পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা সমুদ্র বন্দরের মতো মেগা প্রকল্প। এ সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের যথাযথ বাস্তবায়নে দেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে আয়কর প্রদানকারীর সংখ্যা এবং আয়কর খাতে রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি।

আয়কর কেবল রাজস্ব আহরণের প্রধান খাত নয়, ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে সম্পদের বৈষম্য দূরীকরণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায়ও একটি কার্যকরী মাধ্যম। ‘সবাই মিলে দেব কর, দেশ হবে স্বনির্ভর’ – স্লোগানকে সামনে রেখে এ বছর জাতীয় আয়কর দিবসের নির্ধারিত প্রতিপাদ্য ‘কর প্রদানে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, নিশ্চিত হোক রূপকল্প বাস্তবায়ন’ অত্যন্ত সময়োপযোগী ও যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি। দেশের উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে অভ্যন্তরীণ সম্পদের পর্যাপ্ত যোগান অপরিহার্য। মুক্তবাজার অর্থনীতির এ যুগে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণের উৎস হিসেবে আয়করের গুরুত্ব প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আয়কর সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আয়কর বিভাগ জাতীয় আয়কর দিবস উদযাপন, আয়কর মেলা ও আয়কর সপ্তাহ আয়োজনসহ বিভিন্ন উদ্ভাবনীমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মাধ্যমে আয়কর নিয়ে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি দেশে কর সংস্কৃতির লালন ও বিকাশ ত্বরান্বিত হবে – এ প্রত্যাশা করি। আমি ‘জাতীয় আয়কর দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সফলতা কামনা করছি। খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’