প্রধান মেনু

সরকারি ব্যয়ে স্বচ্ছতা আনয়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয় – স্পিকার

ঢাকা, ২ অগ্রহায়ণ (১৭ নভেম্বর) : স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। কেননা জনগণের পক্ষে সরকার সরকারি অর্থের ব্যবস্থাপনা ও ব্যয় করে থাকে। জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থেকে সরকারি অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে অধিকতর সতর্ক ও সচেতন হলে প্রকল্প ব্যয় হ্রাস পায় এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। সরকারি সকল কাজে স্বচ্ছতার প্রতিফলন ঘটাতে সততা ও দায়িত্বশীলতার বিকল্প নেই। স্পিকার আজ রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক বাংলাদেশ আয়োজিত ‘প্রমোটিং একাউন্টেবিলিটি এন্ড ইন্টেগ্রেটি ইন গভর্নমেন্ট স্পেন্ডিং’ শীর্ষক সাউথ এশিয়া একাউন্টেবিলিটি রাউন্ডটেবিল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসকল কথা বলেন।

ড. শিরীন শারমিন বলেন, বাংলাদেশের সরকারি ব্যয়ের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, দায়িত্বশীলতা ও সততা নিশ্চিত করতে জাতীয় সংসদের সরকারি হিসাব সম্পর্কিত কমিটি (পিএ) এবং বাংলাদেশের মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের অফিস কাজ করছে। জাতীয় সংসদের পিএ কমিটি সরকারের কার্যক্রম তদারকি করে এবং সরকারি ব্যয় সম্পর্কিত সিএজি রিপোর্ট পরীক্ষা করে যাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হয়। স্পিকার আরো বলেন, অর্থের অপব্যবহার ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে প্রশাসন, রাজনীতি ও সমাজব্যবস্থায় জবাবদিহিতা ও দায়িত্বশীলতা ক্রমেই লোপ পায়। ফলে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়ে যায়।

এতে দেশের উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি পায় এবং বাজেট ঘাটতি দেখা যায়। প্রতিটি সেক্টরে অর্থের অপচয় রোধ করতে পারলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ডানডান চেন। এছাড়া বাংলাদেশের মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এবং ভারতের সিএজি ও ডিরেক্টর জেনারেল সুনীল শ্রীকৃষ্ণ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।