সৈয়দপুরে ২ দিন ব্যাপী আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত

শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী প্রতিনিধি ॥ ‘সবাই মিলে আয়কর দিব, স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়বো’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারাদেশের মত নীলফামারীর সৈয়দপুরে উপ-কর কমিশনারের কার্যালয় সার্কেল-৫ (সৈয়দপুর-১) ও সার্কেল-৬ (সৈয়দপুর-২) এর উদ্যোগে দুইদিন ব্যাপী আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শহরের নতুন বাবুপাড়াস্থ উপ-কর কার্যালয়ে আয়োজিত মেলার উদ্বোধণ করেন নীলফামারী জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংরক্ষিম মহিলা সংসদ সদস্য রাবেয়া আলিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম গোলাম কিবরিয়া, নীলফামারী জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ এর সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, দি বণিক সমিতির সভাপতি ইদ্রিস আলী। সভাপতিত্ব করেন আপীলাত রেঞ্জ-৩ রংপুরের যুগ্ম কর কমিশনার জসীমুদ্দিন আহম্মেদ।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দপুর শাখার উপ-কর কমিশনার গোবিন্দ চন্দ্র দাস, কর পরিদর্শক জহুরুল ইসলামসহ সৈয়দপুর অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও চাকুরীজীবি কর প্রদানকারী ব্যক্তিবর্গ। ‘কর প্রদানে স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ, নিশ্চিত হোক রূপকল্প বাস্তবায়ন’ শ্লোগান নিয়ে আয়োজিত মেলায় কর প্রদানকারীদের সহযোগিতায় বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়। এর মধ্যে আয়কর রিটার্ন বুধ, ইটিআইএন রেজিষ্ট্রেশন বুথ, পরামর্শ কেন্দ্র, মুক্তিযোদ্ধা/মহিলা/প্রতিবন্ধি/সিনিয়র সিটিজেন করদাতা বুথ খোলা হয়। এছাড়া সোনালী ব্যাংক ও বেসিক ব্যাংকের উদ্যোগে তাৎক্ষনিক রিটার্ন দাখিলে অর্থ বিনা কমিশনে চালান প্রদানের জন্য বুথ খোলা হয়। এর পাশাপাশি কাস্টমস্ধসঢ়; এন্ড এক্সারসাইজ ভ্যাট বুথও ছিল মেলায়। এসবের মাধ্যমে প্রথম দিন গত ১৫ নভেম্বর শুক্রবার প্রায় ১ হাজার গ্রাহককে পরাপর্শ ও সেবা প্রদান করা হয়। এরমধ্যে প্রায় ৬ জন রিটার্ন দাখিল করেন।
এতে প্রায় ১৫ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে। দ্বিতীয় দিন শনিবার বিকাল ৫ টা পর্যন্ত আরও প্রায় ১ হাজার ৮ শ’ গ্রাহক সেবা গ্রহণ করে। এর ফলে প্রায় ২০ লাখ টাকার আয়কর আদায় করা হয়েছে। মেলা উপলক্ষ্যে ব্যাপক সাজসজ্জা করাসহ শহরব্যাপী প্রচারণা পোস্টার ও মাইকিং করা হয়। এ ব্যাপারে উপ-কর কমিশনার গোবিন্দ চন্দ্র দাস বলেন, এ কার্যালয়ের অধীনে প্রায় ১০ হাজার ২শ’ করদাতা রয়েছেন। এর মধ্যে নিয়মিত ৭ হাজার ৫শ’ জন কর প্রদান করেন। মেলার মাধ্যমে এক্ষেত্রে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। বিশেষ করে সরকারী চাকুরীজীবি ও নতুন করদাতারা উৎসাহিত হয়েছেন। তাছাড়া অনিয়মিত করদাতাদের মধ্যেও সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সার্বিকভাবে আয়কর মেলা অনেকটা স্বার্থক ও সফল হয়েছে বলে তিনি জানান।