প্রধান মেনু

ইন্টারনেট মানব সভ্যতার নতুন সুযোগ — মোস্তাফা জব্বার

ঢাকা, ১ অগ্রহায়ণ (১৬ নভেম্বর) : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ইন্টারনেট মানব সভ্যতার নতুন সুযোগ। ইন্টারনেটের সাথে আইওটি, বিগডাটা, এআই এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটিং সংযুক্ত হওয়ার ফলে আগামী পাঁচ বছর পরের পৃথিবী হবে অকল্পনীয়। ইন্টারনেটের এই বিশাল সুযোগ কাজে লাগাতে এর ব্যবহারে সকলকে সচেতন হতে হবে। মন্ত্রী আজ ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে ১৪তম বাংলাদেশ ফোরাম (বিআইজিএফ) ২০১৯ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

বিআইজিএফ সভাপতি এবং তথ্য মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে এশিয়া প্যাসিফিক নেটওয়ার্ক ইনফরমেশন সেন্টারের পলিসি এন্ড কমিউনিটি বিষয়ক সিনিয়র উপদেষ্টা শ্রীনিবাস গাউদ চেন্দি এবং আইএসপিএবি সভাপতি আমিনুল হাকিম বক্তৃতা করেন। মন্ত্রী বলেন, আমরা চাই বা না চাই ইন্টারনেট সভ্যতা ভয়াবহ রূপে আবির্ভূত হবে। তাই ইন্টারনেটের ইতিবাচক দিক আমাদের কাজে লাগাতে হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে ইন্টারনেটকে সাইড লাইনে রাখার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, ২০২১ সালে বাংলাদেশ ডিজিটালাইজেশনের প্রথম স্তর অতিক্রম করবে। কিন্তু এটাই শেষ না। তাই বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্তর অতিক্রম করার প্রস্তুতি শুরু করেছে।

মন্ত্রী ইন্টারনেটের বিপদ মোকাবিলাকে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, সরকারের ফলপ্রসূ প্রচেষ্টার ফলে পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। ইন্টারনেটে বাংলা ভাষার উন্নয়নে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, আমরা এই বিষয়টিকে খুবই গুরুত্বের সাথে নিয়েছি। মাতৃভাষা নিয়ে আপস করার কোনো সুযোগ নেই। অনুষ্ঠানে হাসানুল হক ইনু ইন্টারনেটকে দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার হিসেবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অগ্রযাত্রা আরো বেগবান করতে ডিজিটাল কমার্স আইন, সম্প্রচার আইন, ডাটা নিরাপত্তা সুরক্ষা আইন এবং ডিজিটাল কনটেন্ট ব্যাংক করা উচিত।