বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ২৮ কার্তিক (১৩ নভেম্বর) : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আজ থেকে বার বছর আগে বাংলাদেশের উদ্যোগের কারণেই দিবসটি জাতিসংঘ দিবস হিসেবে মর্যাদা লাভ করে যা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গর্বের। অব্যাহত নগরায়ণের কারণে জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসে ব্যাপক পরিবর্তন, কায়িক পরিশ্রমের অভাবসহ নানা কারণে বাংলাদেশে ডায়াবেটিসের প্রকোপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রায় প্রতিটি পরিবারেই ডায়াবেটিস এখন উদ্বেগের অন্যতম কারণ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিবর্তিত জীবনধারণের কারণে ডায়াবেটিস যেমন বাড়ছে তেমনি অপরিকল্পিত গর্ভধারণের কারণেও ডায়াবেটিস বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায়, গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত নারীদের অর্ধেকের বেশি পরবর্তীতে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন। এমনকি অপরিকল্পিত গর্ভধারণের কারণে শিশু অপুষ্টির শিকার হলে এবং সেই শিশু পূর্ণবয়স্ক হবার পর অতিরিক্ত ওজন হলে তার ডায়াবেটিস হবার ঝুঁকি থাকে। এ প্রেক্ষাপটে এবারের ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ এর প্রতিপাদ্য – ‘আসুন, পরিবারকে ডায়াবেটিসমুক্ত রাখি’ যথাযথ হয়েছে বলে আমি মনে করি। ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা পেতে হলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। এ বিষয়ে সচেতনতার কাজ শুরু করতে হবে পরিবারের মধ্য থেকেই।
বিশেষ করে ফাস্টফুড, কোমল পানীয়’র মতো ক্যালোরিসমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণে সংযমী হওয়া আবশ্যক। একইসাথে নিয়মিত খেলাধুলা, শরীরচর্চা, সুষম ও পরিমিত আহার ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত জরুরি। আমি ডায়াবেটিস সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি’র পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, গণমাধ্যমসহ সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। আমি ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করি। খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”