বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতীয় যুব দিবস ২০১৯ উদ্যাপিত হবে — সংবাদ সম্মেলনে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, দেশের জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ যুব সমাজের কল্যাণে বাস্তবমুখী কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সরকারের অঙ্গীকার রয়েছে। তাই যুব সমাজের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিতকল্পে বেকার যুবদের উদ্বুদ্ধকরণ, প্রশিক্ষণ প্রদান ও প্রশিক্ষণোত্তর আত্মকর্মসংস্থান প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে তোলা, যুব ঋণ প্রদান, দারিদ্র্য বিমোচন ইত্যাদি কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আগামীকাল (১ নভেম্বর) দেশব্যাপী বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ‘জাতীয় যুব দিবস ২০১৯’ উদযাপিত হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ জাতীয় যুব দিবস ২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। যুবসমাজের সৃজনশীলতা, আত্মপ্রত্যয় ও তাদের কর্মস্পৃহার প্রতি আস্থা রেখে এ বছর জাতীয় যুব দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে : ‘দক্ষ যুব গড়ছে দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’। প্রতিমন্ত্রী দিবসটি উপলক্ষে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির বর্ণনা দিয়ে বলেন, আগামীকাল সকাল ৮ টায় আউটার স্টেডিয়াম সংলগ্ন শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং মাঠের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য যুব কার্যাবলির আয়োজন করা হয়েছে।
আগামী ২ থেকে ৮ নভেম্বর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে যুব মেলার আয়োজন করা হয়েছে। দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলাতে অনুরূপ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হবে। প্রশিক্ষিত সকল যুবক ও যুব মহিলাদের মধ্য হতে আত্মকর্মসংস্থান প্রকল্প স্থাপনে দৃষ্টান্তমূলক অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ২২ জন সফল আত্মকর্মী যুব ও ৫ জন সফল যুব সংগঠককে এ বছর জাতীয় যুব পুরস্কার প্রদান করা হবে। পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে যুবদের উক্ত পুরস্কার প্রদান করবেন।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ, ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি, সর্বোপরি ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অমিত সম্ভাবনার এ যুব সমাজকে কাজে লাগানো ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। সে লক্ষ্যে অধিদপ্তরের কার্যক্রম তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত আরো বিস্তৃত করে দেশে এবং বিদেশে যুবদের অধিকহারে কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে বর্তমান যুববান্ধব সরকার বদ্ধপরিকর। সংবাদ সম্মেলনে যুব ও ক্রীড়া সচিব মোঃ আখতার হোসেন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফারুক আহমেদ ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।