ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পায়নে দক্ষ জনবল তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বিসিক
 
            
                     
                        
       		ঢাকা, ১৪ কার্তিক (৩০ অক্টোবর) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে শিল্পসমৃদ্ধ মধ্যম আয় এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত ও সমৃদ্ধশালী হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন স্তরে দক্ষ জনবল তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক)। এ কর্মসূচির আওতায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে
বিসিক দেশে ও বিদেশে ২১টি কোর্সের মাধ্যমে ২শ’ ৫৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে প্রশিক্ষিত করেছে। চলতি অর্থবছরে ৪৮টি কোর্সের মাধ্যমে আরো ২শ’ ৬০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
গতকাল বিসিক প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত হিসাব ও অর্থ বিভাগের কর্মকর্তাদের নিরীক্ষা বিষয়ক দুই দিনের প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। বিসিক সম্মেলন কক্ষে সংস্থার প্রশিক্ষণ শাখা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। শিল্পসচিব মোঃ আবদুল হালিম এতে প্রধান অতিথি ছিলেন। বিসিক চেয়ারম্যান মোঃ মোশ্তাক হাসান এনডিসি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পসচিব বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাতেগড়া প্রতিষ্ঠান বিসিক বাংলাদেশের শিল্পায়নে মৌলিক কাজ করে যাচ্ছে। তৃণমূল পর্যায়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পায়ন কার্যক্রম গতিশীল করতে বিসিক ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও এর কর্মকাণ্ড ও সাফল্য ততটা প্রচারে আসেনি। তিনি বিসিক বাস্তবায়িত বিভিন্ন প্রকল্পের সাফল্য গণমাধ্যমে তুলে ধরার নির্দেশনা দেন। একই সাথে তিনি তৃণমূল পর্যায়ে বিরাজমান শিল্প সম্ভাবনা এবং উদ্যোক্তাদের চাহিদার ওপর সমীক্ষা চালিয়ে কার্যকর প্রকল্প গ্রহণের জন্য বিসিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরামর্শ দেন।
বিসিক চেয়ারম্যান বলেন, স্বচ্ছতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করলে নিরীক্ষা আপত্তি কমে যাবে। বিসিক থেকে নিরীক্ষা আপত্তি অবসানের জন্য এ ধরণের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হয়েছে। তিনি বিসিকের অনিষ্পত্তিকৃত নিরীক্ষা আপত্তি দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।
উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরের জুলাই হতে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে বিসিক আয়োজিত ১৮টি কোর্সের মাধ্যমে ১শ’ ৩১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। দু’দিনের এ প্রশিক্ষণ কোর্সে হিসাব ও অর্থ বিভাগের ৩০ জন কর্মকর্তা অংশ নিচ্ছেন। এসব প্রশিক্ষিত জনবল তৃণমূল পর্যায়ে মাইক্রো, ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।













