নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারী সরকারি কলেজে অভিভাবক ও সুধি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানসম্মত শিক্ষা গ্রহনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের প্রকৃত শিক্ষার্থী হিসেবে জ্ঞানদানের মাধ্যমে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে পাঠদান করে আসছে কলেজটি। শুধু পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করা নয়। একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলাও কলেজের দায়িত্ব বটে।

সে কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের শ্রেণী কক্ষে নিয়মিত উপস্থিতি, ভাল ফলাফল অর্জন ও মানসম্পন্ন শিক্ষা গ্রহণ নিশ্চিত কল্পে করণীয় বিষয়ে অভিভাবক ও সুধি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ২৯ অক্টোবর বুধবার কলেজের সম্মেলন কক্ষে অভিভাবক সমাবেশে নীলফামারী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর দেবী প্রসাদ রায়ের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কলেজের শিক্ষকসহ অভিভাবক বৃন্দ।

এ সময় কলেজকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে মুক্ত আলোচনায় বক্তরা বলেন, শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে শিক্ষার গুনগতমান ধরে রাখা সম্ভব। এজন্য শিক্ষার্থীদের ক্লাসে নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। শ্রেণী কক্ষে আর্কশনীয় করতে শিক্ষকের ভূমিকার কোন বিকল্প নেই। একজন শিক্ষকেই পারে আদর্শ শিক্ষার্থী তৈরী করতে।

নীলফামারী সদরের ককই বড়গছা পিসি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও ওই কলেজের অভিভাবক বাবু গণপতি রায় বলেন, ছেলে মেয়েদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত উপস্থিতি পাঠদানের একটি বড় অংশ। আর এই ক্ষেত্রে অভিভাকের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর দেবী প্রসাদ রায়ের বলেন, ১৯৫৮ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

এরপর ১৯৭৯ সালে সরকারী করনের পর অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে কলেজটি এখন প্রথম শ্রেণীর কলেজ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। কলেজে ১৭ হাজার ৩০০ শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত আছে। এখানে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে নিয়মিতভাবে অ্যাসিম্বিলী করা হয়। শিক্ষার মান উন্নয়নে বিভিন্ন সেশনে ভাগ করে ছাত্র, ছাত্রীদের পাঠদান করা হয়। এজন্য শিক্ষার্থীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে আজ অভিভাবক সমাবেশ করা হয়েছে।

অভিভাবক সমাবেশে বক্তব্য দেন, নীলফামারী চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী এসএম শফিকুল আলম ডাবলু, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাধারন সম্পাদক মজিবুল হাসান চৌধুরী  শাহিন, কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বাবুল হোসাইন, রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম, বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগি অধ্যাপক (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) মূর্তজা আলী, শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, প্রভাষক (ইংরাজী বিভাগ) সফিউল বাসার, কলেজের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগি অধ্যাপক (ইতিহাস) তারিকুল আলম, অভিভাবক আব্বাজ আলী, লালমোহন রায়, নাজমা আকতার প্রমুখ।