বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে খাদ্যশস্য রপ্তানি করবে —তথ্যমন্ত্রী

চট্টগ্রাম, ৩ কার্তিক (১৯ অক্টোবর) : ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের জনসংখ্যা অনেক বেড়েছে। কমেছে আবাদি জমির পরিমাণ। তারপরও বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বাংলাদেশ এবছর ২ লাখ টন খাদ্যশস্য রপ্তানি করবে।
২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।আজ সকালে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) দু’দিনব্যাপী ১৬শ আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আগে আমাদের ঈদ-উল-আযহার সময় কোরবানির পশুর জন্য পাশের দেশের ওপর নির্ভর করতে হতো। এখন আমাদের পর্যাপ্ত প্রাণিসম্পদ রয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে গবেষণা এবং নতুন নতুন আবিষ্কারের ফলে। আর এর পেছনে অবদান রয়েছে সিভাসু’র মতো বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষকদের। সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিভাসু’র উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন এবং বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সৈয়দা সারওয়ার জাহান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিভাসু’র ওয়ান হেলথ ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. শারমীন চৌধুরী। দেশি-বিদেশি বিজ্ঞানী, গবেষক, শিক্ষাবিদ এবং পেশাজীবীদের এ সম্মেলন জ্ঞান ও গবেষণার নতুন ক্ষেত্র তৈরি করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি স্বপ্ন দেখি উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে সিভাসু একটি ‘সেন্টার অভ্ এক্সিলেন্স’ হবে এবং কৃষি বিজ্ঞান বিষয়ে এটি হবে সেরা বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি সিভাসু কর্তৃপক্ষকে শিক্ষার গুণগত মান বজায় রাখার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও মর্যাদা নির্ভর করে গুণগত শিক্ষা ও গবেষণা কর্মের ওপর। ঢাকায় টিচিং এন্ড ট্রেনিং পেট হসপিটাল ও রিসার্চ সেন্টার স্থাপন, রাঙ্গামাটির কাপ্তাই লেকে ভ্রাম্যমাণ গবেষণা তরী নির্মাণ, হাটহাজারীতে রিসার্চ এন্ড ফার্ম বেইজড ক্যাম্পাস ও কক্সবাজারে গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন-সহ সিভাসু অনেক উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিয়েছে যা দেখে আমি মুগ্ধ। সিভাসুর শিক্ষার্থীরা বিদেশে যাচ্ছে এবং বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখানে আসছে।
বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা কর্মকে সমৃদ্ধ করার জন্য এ ধরনের এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ, বলেন পরিবেশবিদ ড. হাছান। দু’দিনের সম্মেলনে মোট ৭টি টেকনিক্যাল সেশনে ৪টি মূল প্রবন্ধ এবং ৫২টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনে যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, ভারত-সহ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রায় ৩০০ জন বিজ্ঞানী, গবেষক, শিক্ষাবিদ, পরিবেশবিদ, পেশাজীবী, এনজিও কর্মী, উন্নয়ন সহযোগী ও দাতা সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করছেন।