নোয়াখালীতে তৃণমূল সাংবাদিকতার পথিকৃৎ, বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী কামরুল হাসান মঞ্জু শোক- সংহতি সভা অনুষ্ঠিত

গাজী রুবেল, নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীতে গণমাধ্যম বিষয়ক বেসকারি উন্নয়ন সংস্থা ম্যাস লাইন মিডিয়া সেন্টার এমএসসির প্রতিষ্ঠাতা, তৃণমূল সাংবাদিকতার পথিকৃৎ ও বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী কামরুল হাসান মঞ্জুর শোক-সংহতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জেলা শহরের বিআরডিবি মিলনায়তনে এ শোক- সংহতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। হাসান মঞ্জুর শোক-সংহতি পর্ষদ আয়োজিত এ সভায় এমএমসি’র প্রাক্তন কর্মকর্তা, এমএমসি’র প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তৃণমূল সংবাদকর্মী, জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে কর্মরত সাংবাদিক, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, আবৃত্তিশিল্পী, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি সহ কামরুল হাসান মঞ্জুর ভক্ত অনুরাগীরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রয়াত কামরুল হাসান মঞ্জুর ভক্ত অনুরাগীরা তাঁর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এমএমসির নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি আবু নাছের মঞ্জুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র সহিদ উল্যাহ খাঁন সোহেল, চ্যানেল আইয়ের জ্যেষ্ঠ বার্তা সম্পাদক মীর মাসরুর জামান, গণমাধ্যম বিষয়ক বেসকারি উন্নয়ন সংস্থা সমষ্ঠির পরিচালক মীর সাহিদুল আলম, রেজাউল হক শাহিন, প্রাক্তন এমএমসি কর্মকর্তা মোবারক হোসেন, রফিকুল ইসলাম মন্টু, মো: জাহাঙ্গীর আলম, হোসাইন আহমেদ হেলাল, মিজানুর রহমান মাসুদ প্রমূখ।
বক্তারা কামরুল হাসান মঞ্জুর কর্মময় জীবনের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে কামরুল হাসার মঞ্জুকে নিয়ে তার প্রতিষ্ঠিত লোক সংবাদ পত্রিকার বিষেশ সংখ্যার মোড়ক উম্মোচন এবং কামরুল হাসান মঞ্জুর আবৃত্তি অ্যালবাম থেকে আবৃত্তি পরিবেশন করা হয়।
উল্লেখ্য-গত কামরুল হাসান মঞ্জু ২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। ওইদিন সন্ধ্যার দিকে তিনি নিজ বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রাতেই দাফনের জন্য তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি যশোর নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
কামরুল হাসার মঞ্জু ম্যাস্ধসঢ়; লাইন মিডিয়া সেন্টার এমএমসি প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে তিনি তৃণমূল গণমাধ্যম কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নে অসাধারণ অবদান রাখেন। বাংলাদেশে যে কজন মানুষের হাত ধরে সাংগঠনিকভাবে আবৃত্তিচর্চা শুরু হয়েছিল তাদের মধ্যে কামরুল হাসান মঞ্জু অন্যতম। বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।