বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ২৪ আশ্বিন (৯ অক্টোবর) : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ‘বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করছেনে :
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০১৯’ উদ্যাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে আত্মহত্যা করে প্রায় আট লাখ মানুষ। আত্মহত্যা-জনিত মৃত্যুর অধিকাংশই প্রতিরোধযোগ্য। অধিকাংশ ব্যক্তিই আত্মহত্যার সময় কোন না কোন মানসিক রোগে আক্রান্ত থাকেন। সাধারণত সেটা গুরুত্ব দেওয়া হয় না বা মানসিক রোগ নিশ্চিত হলেও যথাযথ চিকিৎসা করা হয় না বলেই আত্মহত্যা বেড়ে যাচ্ছে।
মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নের মাধ্যমে আত্মহত্যার এ হার কমিয়ে আনা সম্ভব বলে আমি মনে করি। তাই এ বছর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য ‘মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ও আত্মহত্যা প্রতিরোধ’ (Mental Health Promotion and Suicide Prevention) এ প্রেক্ষাপটে যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি। মানসিক রোগ প্রতিরোধে মনের যত্ন নেওয়া আবশ্যক। মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা অন্য সাধারণ রোগীর চেয়ে ভিন্ন ধারার এবং চিকিৎসার পাশাপাশি পারিবারিক ও সামাজিক সমর্থনও এক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে মাদকাসক্তি, পারিপার্শ্বিক পরিবেশ, নগরায়ণসহ পারিবারিক ও সামাজিক নানা অস্থিরতা মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
জনগণের মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে এক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। অন্যান্য রোগের মতো মানসিক রোগেরও বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। তাই ঝাঁড়ফুক বা অবৈজ্ঞানিক চিকিৎসা পদ্ধতি পরিহারে জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। আগামী প্রজন্মকে মানসিকভাবে সুস্থ ও সুন্দরভাবে গড়ে তুলে একটি স্বাস্থ্যবান জাতি গঠনে সকলের সম্মিলিত প্রয়াস অব্যাহত থাকবে – এ প্রত্যাশা করি। আমি ‘বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সফলতা কামনা করছি। খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”