জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির বাণী

প্রধানমন্ত্রীর বাণী :প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও), শিল্প মন্ত্রণালয় দেশব্যাপী ‘জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস ২০১৯’ পালন করতে যাচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এবারের প্রতিপাদ্য ‘বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় উৎপাদনশীলতা’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।উৎপাদনশীলতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি প্রবৃদ্ধি ও আয়স্তর নির্ধারণে প্রধান উপাদান হিসেবে কাজ করে।
যে দেশ কম খরচে অধিক গুণগত মানসম্পন্ন দ্রব্য উৎপাদন করবে সে দেশ তত বেশি সুবিধাজনকভাবে এগিয়ে যাবে। তাই উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ছাড়া অন্য কোন বিকল্প নাই। ইতোমধ্যে আমরা নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছি। আমরা ভিশন- ২০২১ বাস্তবায়নের খুব কাছাকাছি অবস্থান করছি। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার সংকল্প নিয়েছি। একই সময়ে সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে বদ্ধপরিকর।
এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সকল সেক্টরে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা অপরিহার্য। এজন্য জনগণের মধ্যে উৎপাদনশীলতা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি জরুরি। আমি আনন্দিত যে ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন দিবসটি উদ্যাপনে নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমি আশা করি, জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস উদ্যাপন উৎপাদনশীলতা উন্নয়নের গতি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমি ‘জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস ২০১৯’- এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ চিরজীবী
রাষ্ট্রপতির বাণী : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস ২০১৯ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) ২ অক্টোবর দেশব্যাপী জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস উদ্যাপন করছে জেনে আমি আনন্দিত। উৎপাদনশীলতা জাতীয় অর্থনীতির একটি অপরিহার্য অঙ্গ। এটি একটি দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করে এবং উৎপাদন, সঞ্চয়, বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। টেকসই অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়নের জন্য আমরা সর্বাত্নক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
উন্নয়নের ধারা চলমান রাখার জন্য আমাদেরকে আরো বেশি প্রতিযোগিতামূলক হতে হবে। এ প্রেক্ষিতে এ বছরের জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় উৎপাদনশীলতা’ খুবই সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলছে। নানাবিধ প্রতিকূলতা সত্ত্বেও দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ক্রমাগত বাড়ছে। সরকার রূপকল্প ২০২১ এবং জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ বাস্তবায়নে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।
এছাড়া ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে রূপান্তরের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টেকসই উন্নয়নের জন্য সর্বোচ্চমানের পণ্য উৎপাদন ও সেবা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য সকল অর্থনৈতিক সেক্টরের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে হবে। সরকারের এসকল দীর্ঘমেয়াদী কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে আমি এনপিও’র পাশাপাশি সকল সরকারি ও বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠান ও সেবা সংস্থাকে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। ‘জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস ২০১৯’ উদ্যাপন সফল হোক – এ কামনা করি। খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”