বগুড়ায় পূজা মন্ডপগুলোতে কারিগররা এখন মহাব্যস্ত

বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়া জেলার ১২টি উপজেলায় এ বছর ৬৭৩ টি পুজামন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজার আয়োজন চলছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজাকে ঘিরে বগুড়ায় প্রতিমা শিল্পীরা মহাব্যস্ত হয়ে পড়েছে। শনিবার মহালয়ার মধ্যে দিয়ে দেবী পক্ষের সুচনা হয়েছে শুরু হয়েছে দুর্গাপূজার গণনাও। দেবীর বোধনের মধ্যে দিয়ে মুল দূর্গোৎসব শুরু হবে আগামী ৩ অক্টোবর।
হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ এ ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে ইতিমধ্যেই জেলার ১২ উপজেলার প্রতিটি মন্ডপ সাজানোর ধুম পড়েছে। প্রতিমা তৈরীর শিল্পীরা তাদের সর্বমেধা দিয়ে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে প্রতিমার মাটির কাজ শেষ। এখন চলছে রং ও সাজ সজ্জার কাজ। বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার অফিস সুত্রে জানা গেছে, বগুড়া জেলায় এ বছর মোট ৬৭৩টি পুজামন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা আয়োজন করা হয়েছে।
বগুড়া সদরে সর্বোচ্চ ১১৪টি, শেরপুর উপজেলা ৮৬টি, গাবতলী উপজেলায় ৭১টি, আদমদিঘীতে ৫৯টি, শাজাহানপুরে ৫৭টি, শিবগঞ্জে ৫২টি, নন্দীগ্রাম উপজেলায় ৪৬টি, সোনাতলায় ৪৪টি, ধুনটে ৪২টি, কাহালু উপজেলায় ৪০টি, দুপচাঁচিয়া উপজেলায় ৩৮টি ও সারিয়াকান্দি উপজেলায় ২৪টি পুজামন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজার আয়োজন এখন শেষের দিকে। পূজা মন্ডপগুলোতে সাড়ম্বরে শুরু হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। প্রতিমা শিল্পীরা দিন-রাত ব্যস্ত প্রতিমায় রং তুলির কাজে।
রাত-দিন পরিশ্রম করে শিল্পীরা তৈরি করেছেন দূর্গা, শিব, লী, স্বরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, মহিষ, অসুর, সিংহের মৃন্ময় মূর্তি। প্রতিমার সৌন্দর্য আর চাকচিক্য নিয়ে বিভিন্ন মন্ডপে চলছে নীরব প্রতিযোগিতা। শরৎকালের এ পূজাকে হিন্দু মতে অকালবোধনও বলা হয়। এই অকালবোধনে শারদীয় দূর্গোৎসবকে ঘিরে নানা আয়োজনে ব্যস্ত হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। তাই নর-নারী, তরুণ-তরুণী এমনকি বৃদ্ধ-বৃদ্ধারাও দেবীর আর্শিবাদ পাওয়ার আশায় দেবীর আগমনের প্রতিক্ষার প্রহর গুনছে।