জাতীয় স্যানিটেশন মাস-অক্টোবর ২০১৯ এবং বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস ২০১৯ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ১৫ আশ্বিন (৩০ সেপ্টেম্বর) : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১ অক্টোবর ‘জাতীয় স্যানিটেশন মাস- অক্টোবর ২০১৯’ ও ‘বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “দেশব্যাপী স্যানিটেশন কার্যক্রমকে গতিশীল করতে ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশব্যাপী ‘জাতীয় স্যানিটেশন মাস-অক্টোবর ২০১৯’ ও ‘বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস ২০১৯’ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা অপরিহার্য। বাংলাদেশ স্যানিটেশন কর্মসূচিতে ‘সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’ অর্জনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে যা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছে। সকলের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন নিশ্চিতে স্বল্প মূল্যের স্যানিটারি ল্যাট্রিন নির্মাণ, পাবলিক ও কমিউনিটি টয়লেট স্থাপনসহ প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ওয়াশ ব্লক নির্মাণ করা হচ্ছে।
বিগত ১০ বছরে স্যানিটেশনের জাতীয় কভারেজ শতকরা ৯৯ ভাগ এ উন্নীত হয়েছে। পাশাপাশি সুন্দর জীবন ও সুস্থতার জন্য প্রতিটা কাজের ক্ষেত্রে বিশেষ করে খাবার আগে ও শৌচকাজের শেষে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস অত্যন্ত জরুরি। স্যানিটেশন কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে এসকল কার্যক্রমে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
স্যানিটেশন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমূহ সমন্বিত প্রয়াস অব্যাহত রাখবে – এ প্রত্যাশা করি। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ধারাবাহিকতায় ২০৩০ সালের মধ্যে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’ অর্জনে আমাদের নিরলস প্রচেষ্টা চালাতে হবে। এজন্য দেশব্যাপী স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট সকলকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।
আমি আশা করি দেশব্যাপী ‘জাতীয় স্যানিটেশন মাস- অক্টোবর ২০১৯’ উদযাপনের সকল কর্মসূচি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে। আমি ‘জাতীয় স্যানিটেশন মাস-অক্টোবর ২০১৯’ ও ‘বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি। খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক”।