পাটগ্রামে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের হাহাকার, ত্রান পেল সম্পদশালীরা

হাতীবান্ধা(লালমনিরহাট)প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নে ১৪ জুলাই বয়ে যাওয়া ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে।এতে একজনের প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের উপারমারা গ্রামের মহির উদ্দিনের পুত্র রবিউল ইসলাম। ওই ঝড়ে তার ৩টি চালা উড়ে গেছে। এখন অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু সাইদ নেওয়াজ নিশাতের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন ত্রান বা সুবিধা পায়নি। একই ইউনিয়নের বামনদল গ্রামের আব্দুর রহমানের পুত্র আমির হোসেনের ৩টি ঘরের মধ্যে ২টি ঘর ঝড়ে লন্ড ভন্ড হয়ে গেছে। অপর একটি ঘরে তার মাথা গোঁচার ঠাঁই জোটে।
এমনেই ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত উপারমার গ্রামের এবার উদ্দিনের পুত্র ফজলে হোসেন, ওসমান গণির পুত্র মোস্তফা আলী, মূত এনতাম উদ্দিনের পুত্র দুলু মিয়াসহ অনেক পরিবার ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট এসে খালি হাতে ফিরে যায়। সরকারিভাবে পর্যাপ্ত পরিবারে ত্রান সামগ্রী আসলেও তা চলে যাচ্ছে দলীয় ও সম্পদশালী লোকদের হাতে।ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়েও সুবিধা পেয়েছে তারা। বুড়িমারী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক খিদির বকসের পুত্র হাফিজার রহমান, তার ভাই আমিন আলী ও মামুন আলী, ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলামের ভাই করিদুল ইসলাম ও তার পিতা মনছুর হকের ঝড়ে কোন ক্ষয়ক্ষতি না হয়েও জনপ্রতি পেল ত্রানের ৩০ কেজি করে চাল। ৪নং ওয়ার্ডের ভাসানীর পুত্র সম্পদশালী সুমন, পুত্র আতিকুজ্জামান, আজিজুল ইসলামের পুত্র ওয়ালেদ ও ৫নং ওয়ার্ডের আতাউর রহমানের নামও রয়েছে ওই তালিকায়।
বুড়িমারী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম বলেন, তার পিতা মনছুর হক ও ভাই করিদুল ইসলামের ঝড়ে তেমন কোন ক্ষতি না হলেও দরিদ্র।যে কারনে ত্রানের ৩০ কেজি চালের স্লিপ দেয়া হয়েছে। বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু সাইদ নেওয়াজ নিশাত বলেন, ৩০ কেজির ত্রানের চালের তালিকা আমি করিনি। কে করেছে সে ব্যাপারে বলতে ও পারবো না। এব্যাপারে পাটগ্রাম উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা উত্তম কুমার নন্দী বলেন,এধরনের অভিযোগ আমার জানা নাই পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল করিম বলেন, বুড়িমারী ইউনিয়নে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রান বিতরণ সংক্রান্ত কোন অভিযোগ আসেনি। পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।