বিএনপি গঠনতন্ত্রের ৭ম ধারা বাদ দিয়ে দুর্নীতিবাজদের জায়েজ করছে — তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ১৪ আশ্বিন (২৯ সেপ্টেম্বর) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দুর্নীতি-মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান করেছেন, বিএনপি তখন তাদের গঠনতন্ত্রের ৭ম ধারা বাদ দিয়ে সমস্ত দুর্নীতিবাজদের তাদের দল করার সুযোগ করে দিয়েছে, বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ।
আজ রাজধানীতে প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন হলে আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা এম এ মান্নান স্মরণে আয়োজিত সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জি. মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী শিল্প মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আমির হোসেন আমু, সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়েশা খান, আওয়ামী লীগের সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, প্রচার সম্পাদক আকতার হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউজ্জামান বদি প্রমুখ সভায় অংশ নেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি আগে যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন অনিয়মকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার জন্যে হাওয়া ভবন করে সমস্ত ব্যবসা থেকে টোল আদায় করতো, খোয়াব ভবন করে আমোদ ফুর্তি করতো। প্রধানমন্ত্রী আজকে দল-মতের ঊর্ধ্বে সমস্ত অনিয়মের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছেন, আর বিএনপি সাত নম্বর ধারা বাদ দিয়ে সমস্ত দুর্নীতিবাজদের দল করার সুযোগ করে দিয়েছে। এখানেই হচ্ছে তাদের সাথে আমাদের পার্থক্য।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সাত নম্বর ধারায় ছিল, কেউ যদি দুর্নীতিগ্রস্ত হয় বা দুর্নীতির দায়ে শাস্তিপ্রাপ্ত হয়, কারো বিরুদ্ধে যদি এই সমস্ত অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তিনি তাদের দলের কোনো পদেই থাকতে পারবে না। সেই সাত নম্বর ধারাটি বাদ দিয়ে বিএনপি সমস্ত দুর্নীতিবাজদের তাদের দল করার সুযোগ করে দিয়েছে।’
আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতারা রাজনীতিকে ব্রত হিসেবে নেয়। আর বিএনপির কাছে রাজনীতি ব্রত নয়। তাদের কছে রাজনীতি হচ্ছে ক্ষমতা এবং ভোগ বিলাসের সোপান। আওয়ামী লীগ সৃষ্টি হয়েছে আন্দোলন, সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। আওয়ামী লীগে আজকের যারা জাতীয় নেতা, তাদের প্রত্যেকের পেছনে অনেক সংগ্রামের ইতিহাস আছে, জীবনকে মৃত্যুর মুখোমুখি করার অনেক ঘটনা আছে, যেটি বিএনপি নেতাদের নাই।
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের মধ্যে যে সমস্ত অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে, পরপর তিনবার ক্ষমতায় থাকার কারণে যারা আওয়ামী লীগের লেবাস পরে দলে অনুপ্রবেশ করেছিল, যাদের নৈতিক স্খলন ঘটেছে, তাদের বিরুদ্ধে তিনি জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে অগ্রসর হচ্ছেন, তিনি ক্যাসিনো বন্ধ করছেন, মাদক বন্ধ করছেন, অনিয়ম বন্ধ করছেন’, বলেন ড. হাছান।
তথ্যমন্ত্রী এ সময় প্রয়াত চট্টগ্রামের নেতা এম এ মান্নানকে অত্যন্ত সৎ, সদালাপী, প্রাজ্ঞ নেতা হিসেবে উল্লেখ করে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং বলেন, এই ধরণের নেতাদের স্মরণে আলোচনা সভা হওয়া প্রয়োজন।