প্রধান মেনু

পাইকগাছায় খাস-খালের বাঁধ দিয়ে চিংড়ি চাষ

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি ॥ পাইকগাছার লোনাপানি অধ্যাষিত লতা ইউনিয়নের সরকারি খাস-খালের বাঁধ দিয়ে চিংড়ি চাষ করা হচ্ছে। এতে করে পানি প্রবাহের পথ হচ্ছে রুদ্ধ। চলতি বর্ষা মৌসুমে এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলবদ্ধতা। এলাকাবাসী বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে কোন ফল পাইনি। লতা ইউনিয়নের ১২টি মৌজার গয়সাখাল ১৯ একর ও পোদা নদী ৫৫ একর সহ মোট ৭০ একর আয়তনের সরকারি খালটি এলাকার প্রভাবশালী চিংড়ি চাষী নয়ন এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ আনারুল ইসলাম, গড়েরডাঙ্গা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি কয়রা সভাপতি প্রদীপ রায়।

জেলা পরিষদ হতে ইজারা গ্রহণ করে সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে খালে আঁধারমানিক গ্রামের বরদা মল্লিকের ছেলে শিবপদ মল্লিক, ধলাই গ্রামের মুকুন্দ মল্লিকের ছেলে সুশান্ত মন্ডল, হাড়িয়া গ্রামের সত্যচরণ বিশ্বাসের ছেলে বিভূতি বিশ্বাস ও লতা গ্রামের আব্দুর রাবি সরদারের ছেলে বাবলু সরদারকে দিয়ে ৪টি  বিভক্ত করে বাঁধ দিয়ে চিংড়ি চাষ করছে। এদিকে পানি সরবরাহের ধলাই হতে গঙ্গারকোনা পর্যন্ত ১ মাত্র খালটি বাঁধ দেওয়ায় বর্তমানে তেঁতুলতলা, গঙ্গারকোনা, হালদার চক, আধারমানিক, হাড়িয়া, ধলাই, লতা, পুতুলখালী সহ ১৫টি গ্রামের ২০ হাজার মানুষ পানিবন্ধি হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে।

ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসী খালটি জন সাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখার জন্য একাধিকবার বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগে দিয়েও কোন ফল পাইনি। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মন্ডল জানান, সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে খাস খালের বাঁধ দিয়ে চিংড়ি চাষ করার কারণে এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। জনগণের দাবীর প্রেক্ষিতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে নদী দুটি জনস্বার্থে উন্মুক্ত রাখা হবে।