প্রধান মেনু

নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জে স্পিরিট সেবনে ৬ জনের মৃত্যু, এক জনের অবস্থা আজঙ্কাজনক, হোমিও দোকান মালিক ও তার ছেলে আটক

গাজী রুবেল, নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে হোমিও দোকানের স্পিরিট পান করে ৬জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা গুলো ঘটে। এ ঘটনায় প্রথমে ২জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ফেনী ও ঢাকায় প্রেরণ করে আত্মীয় স্বজনেরা।

নিহতরা হচ্ছে, উপজেলার মোহাম্মদ নগর গ্রামের মৃত: ফয়েজ আহমদ’র ছেলে মহিন উদ্দিন (৪০), বসুরহাট পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ডের বাঁশ ব্যাপারী বাড়ির নুর নবী মানিক (৫০), পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ডের ক্ষিরত মহাজন বাড়ির অনিল রায়’র ছেলে রবি লাল রায় (৫৭), চরকাঁকড়া ইউনিয়নের টেকের বাজার এলাকার আবদুল খালেক (৭২), সিরাজপুর ইউনিয়নের মতলব মিয়ার বাড়ি সংলগ্ন সবুজ (৬০)।  এ দিকে বসুরহাট পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ডের আব্দুর রহমানের ছেলে লিটন (৫০) ঢাকায় চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পুলিশ জানার আগেই নিহত ৩জনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে রবি লাল রায়’র ও মানিক নামে ২ জনের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। অপরদিকে দুলালকে ফেনীতে চিকিৎসাদেয়া হচ্ছে বলে জানা যায়। এ ঘটনায় পুলিশ স্পিরিট বিক্রেতা জাহিদুল ইসলাম ও ছেলে পিয়মকে আটক করেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এ দোকানের মালিক জাহিদুল ইসলাম জায়েদ ও তার ছেলে পিয়ম দীর্ঘ অনেক বছর অনেকটা খোলামেলা ভাবে এ হোমিও হল দোকানে স্পিরিটসহ বিভিন্ন নেশা জাতীয় দ্রব্য বিক্রি করে আসছে। সে এই স্পিরিট ও নেশাদ্রব্য বিক্রির টাকায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসের পাশে নির্মাণ করছে বহুতল ভবন।

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুর রহমান, ৬ জনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, একাধিক সূত্রে বিভিন্ন স্থানে স্পিরিট পানে ৬ জনের মৃত্যুর খবর শুনে নিহত ৬জনের বাড়ি পরিদর্শন করি। ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে ২ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ৩জনের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২জনের মধ্যে লিটনের মৃত্যু হয়েছে বলে জেনেছেন, কিন্তু নিহতের লাশ কোথায় আছে, রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত তিনি নিশ্চিত হতে পারেননি।