বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে ৮ জুলাই জাতিসংঘ সদরদপ্তরে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত এবং বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ওপর নির্মিত চলচ্চিত্র ‘জন্মভূমি’ প্রদর্শন করা হয়। জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে। সহ-আয়োজক ছিল কেনিয়া ও জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই-কমিশন (ইউএনএইচসিআর)। প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে এসে কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রিত অন্তঃস্বত্ত্বা রোহিঙ্গা নারী সোফিয়া’র নিজ জন্মভূমি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ফিরে যাওয়ার আকুতি এবং আগত সন্তানকে জন্মভূমি ছাড়া অন্য কোথাও জন্ম না দেওয়ার তীব্র আকাক্সক্ষা ও দৃঢ়তা ফুটিয়ে তোলার পাশাপাশি চলচ্চিত্রটিতে তুলে ধরা হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে ভাগ্যবিড়ম্বিত এই জনগোষ্ঠীর অসহায়ত্বের কথা।

প্রসুন রহমানের গল্প ও পরিচালনায় বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়ার এই ডকু-ফিকশন চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেন সৈয়দ আশিক রহমান। চলচ্চিত্রটি প্রদর্শনের আগে রোহিঙ্গাসহ বিশ্বের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত শরণার্থীদের বিষয় ও চলচ্চিত্রটির প্রেক্ষাপট নিয়ে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। জাতিসংঘে সুইজারল্যান্ডের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত জার্গ লাউবার, কেনিয়ার উপ- স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত কোকি মুলি গ্রিগনন, ইউএনএইচসিআর এর সিনিয়র পলিসি অ্যাডভাইজর অর্জুন জেইন, আরটিভি’র সিইও সৈয়দ আশিক রহমান ও চলচ্চিত্রটির যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশক রাজ হামিদ আলোচনা পর্বে অংশগ্রহণ করেন।

রোহিঙ্গা সমস্যার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বলেন, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদারতা ও মানবিকতা আজ সারাবিশ্বে প্রশংসিত। নিরাপত্তা ও মর্যাদার সাথে তাদের নিজভূমিতে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে বিশ্ব সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানের পুনরুল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত। যুক্তরাষ্ট্র সফররত বাংলাদেশের সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম ও সাবেকসংসদ সদস্য মাহজাবিন খালেদ এসময় উপস্থিত ছিলেন। জাতিসংঘের সদস্যদেশসমূহের স্থায়ী প্রতিনিধি ও কূটনীতিকগণ, নিউইয়র্কস্থ বিভিন্ন দেশের কনসাল জেনারেল, জাতিসংঘের কর্মকর্তা, যুক্তরাষ্ট্রের মূল ধারার মানবাধিকার কর্মী, লেখক, চলচ্চিত্রকার ও শিল্পীগণ এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।