নদীর তীর পুনর্দখলের চেষ্টা করবেন না —স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী

নদীর তীর পুনর্দখল রোধে নদীর তীরভূমিতে সীমানা পিলার স্থাপন, ওয়াকওয়ে, কিওয়াল, ওয়াকওয়ে অন পাইল ইত্যাদি নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। কাজ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। নদীর তীরভূমির অবৈধ দখল রোধ, দখলমুক্ত অংশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি, পরিবেশগত উন্নয়ন, ওয়াকওয়ে নির্মাণ এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। আজ ঢাকার কামরাঙ্গীরচরস্থ খোলামোড়া ঘাটে সীমানা পিলার, ওয়াকওয়ে, নদীর তীর রক্ষায় কিওয়াল, ওয়াকওয়ে অন পাইল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সংসদ সদস্য হাজী মোঃ সেলিম, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবদুস সামাদ, পরিবেশবিদ সৈয়দ আবুল মকসুদ, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান এম মাবুবব উল ইসলাম এবং প্রকল্প পরিচালক নুরুল আলম উপস্থিত ছিলেন। প্রথম পর্যায়ে (৬ জুলাই থেকে) ঢাকা নদী বন্দর এলাকায় ৩ হাজার ৮০৩টি আরসিসি সীমানা পিলার, রামচন্দ্রপুর হতে বসিলা ও রায়েরবাজার খাল হতে কামরাঙ্গীরচর পর্যন্ত এক কিলোমিটার ওয়াকওয়ে, এক কিলোমিটার কিওয়াল, দু’ দশমিক পাঁচ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে অন পাইল নির্মাণ/স্থাপন করা হবে। ৩ হাজার ৮০৩টি আরসিসি সীমানা পিলারের মধ্যে ২ হাজার ৩৪০টি সিঙ্গেল পাইলের এবং ১ হাজার ৪৬৩টি ডাবল পাইলের হবে। ২০২০ সালের মধ্যে এসব স্থাপনার কাজ শেষ হবে।
উল্লেখ্য, বিআইডব্লিউটিএ প্রকল্পের আওতায় বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরভূমিতে সীমানা পিলার স্থাপন, ওয়াকওয়ে, কিওয়ালসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। নদীর তীরভূমিতে ৫২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ, নদীর তীরভূমিতে পাইলের ওপর ১২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে, ১০ হাজার ৮২০টি সীমানা পিলার স্থাপন, তিনটি ইকোপার্ক নির্মাণ, দু’টি পর্যটনবান্ধব দৃষ্টিনন্দন পার্ক, ১৯টি আরসিসি জেটি, ১০০টি আরসিসি সিঁড়ি, ৪০ কিলোমিটার কিওয়াল ইত্যাদি নির্মাণ করা হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, বুড়িগঙ্গাসহ দেশের সকল নদী দখলমুক্ত করে বাংলাদেশের নদীমাতৃক রূপ তুলে ধরা হবে। তিনি বলেন, নদীর তীর পুনর্দখলের চেষ্টা করবেন না। কেউ দখল করার চেষ্টা করলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী বুড়িগঙ্গাকে পুরোনো রূপে ফিরিয়ে আনার নির্দেশনা দিয়েছেন।
তাঁর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি। স¦রাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকার চারপাশে সার্কুলার নৌপথ চালু করলে যাত্রী ও মালামাল পরিবহন সহজতর হবে। বুড়িগঙ্গাকে হাতিরঝিলের ন্যায় নয়নাভিরাম করা হবে। বুড়িগঙ্গা হবে আনন্দ ও বিনোদনের কেন্দ্র। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বুড়িগঙ্গাকে দূষণমুক্ত করে মানুষের ব্যবহার উপযোগী করতে চাই। মানুষের জীবিকার জন্য নদী ব্যবহৃত হবে, সরকার সে রকম পরিবেশ গড়ে তুলবে। তিনি বলেন, ঢাকার চারপাশের নদীগুলোকে দখল ও দূষণমুক্ত করতে কাজ করছে সরকার। তিনি নদী রক্ষায় সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।