প্রধান মেনু

জলমহালের ইজারাপ্রাপ্তিতে মৎস্যজীবীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান মৎস্য প্রতিমন্ত্রীর

জলমহাল ইজারা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অমৎস্যজীবীদের ঠেকাতে হাওড়-বাওড় এলাকাধীন সকল মৎস্যজীবী ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু। আজ ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে “হাওড়ের ইজারা প্রথা ও মৎস্য ব্যবস্থাপনা” বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এই আহ্বান জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মৎস্যজীবী সংগঠনকেই জলমহাল ইজারা দেয়া সরকারের লক্ষ্য। প্রায়ই মৎস্যজীবীদের অনৈক্যের কারণে অর্থলগ্নিকারী অমৎস্যজীবী সংগঠন ইজারা বাগিয়ে নিতে সক্ষম হয়। কখনো কখনো মৎস্যজীবী সমিতির নেয়া লিজকে তাদের কাছে অবৈধভাবে সাবলিজও দেয়া হয়, যা উচিত নয়। জলমহালের ইজারাপ্রাপ্তির অধিকার প্রকৃত মৎস্যজীবীদেরই এবং তা নিশ্চিত করতে সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে। সমুদ্রে ৬৫ দিন মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞার সময় মৎস্যজীবীদের ৪৮ হাজার মে. টন চাল দেয়া হয়েছিল বলেও তিনি জানান।

সরকার জনগণের আমিষের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে মাছের পাশাপাশি পোলট্রিখাতকেও এগিয়ে নিচ্ছে এবং মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণা কার্যক্রমের আওতায় হারিয়ে যাওয়া দেশীয় মাছের ৬০-৮০ শতাংশ প্রজাতির পুনরুদ্ধার ঘটাতে সক্ষম হয়েছে। মৎস্য অধিদফতরের পরিচালক কাজী শামস আফরোজ, সাবেক সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাস, বিডব্লিউটিসির সাবেক পরিচালক মনোয়ার হোসেন বৈঠকে বক্তৃতা করেন।