ঢাকা, ৬ আশ্বিন (২১ সেপ্টেম্বর) : টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে অবশ্যই বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ শিল্প চা খাতে কর্মরত নারী শ্রমিকদের বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা থেকে উত্তরণ ঘটাতে হবে।

জাতিসংঘের চারটি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার সাথে যৌথ উদ্যোগে সরকার সিলেট বিভাগের তিনটি জেলার নারী চা শ্রমিকের জীবনমানের উন্নয়ন এবং শ্রমিকদের পরিবারের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রকল্প গ্রহণ করবে। প্রস্তাবিত প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে দুই বছর এবং প্রস্তাবিত খরচ ২০ লাখ মার্কিন ডলার।

আজ ঢাকায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মোঃ আবুল কালাম আজাদ এসব তথ্য জানান।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আলী আজম বলেন, সরকার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে সারা দেশে কাজ করে যাচ্ছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এর আওতাধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহযোগিতায় চা শ্রমিকদের সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

অনুষ্ঠানে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায় বলেন, ‘চা বাগানের শ্রমিকদের বিশেষত মহিলা শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ প্রকল্প গৃহীত হলে চা শিল্পের এ সকল সমস্যা নিরসন সহজ হবে, শ্রমিকরা এ সকল সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ করবে।’

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার পদস্থ কর্মকর্তা, আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটিয়াইনেন-সহ জাতিসংঘের চারটি অঙ্গসংস্থা এবং কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।