নীলফামারীতে দেড়যুগেও মিলেনি বিদ্যালয়ের ভবন, ভবনের অভাবে পাঠদান ব্যাহত

নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার পশ্চিম খারিজা গোলনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভবনের অভাবে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই বিদ্যালয়ের মাঠ এবং বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষ কর্দমা যুক্ত হয় আর একটু সূর্যের তাপ বাড়লে এই টিনছাপড়া কক্ষে ছাত্র /ছাত্রী, শিক্ষক/শিক্ষিকা কেউ থাকতে পাড়েনা। বছরের পর বছর এ অবস্থায় বিদ্যালয় চললেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন নজর নেই সেদিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ফেন্সি আক্তার এমনটাই জানিয়েছেন।
জানা গেছে, পশ্চিম খারিজা গোলনা এলাকায় ১৯৯৮ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়।ওই সময় থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় একটি টিনের ছাপড়া তুলে পাঠদান চলে আসছে। ২০১৮ সালে প্রাকৃতিক বন্যায় স্কুল ভবনটি ভেঙ্গে গেলে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আবারও টিনের ছাপড়া ঘর নির্মাণ করা হয়।
ছাপড়া ঘরটির বর্তমান অবস্থা ভঙ্গুর। ওই ছাপড়া ঘরেই গত বিশ বছর ধরে পাঠদান চলছে। বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে বিদ্যালয় ভবন এবং টিনের চালা দিয়ে পানি পড়ে শ্রেণিকক্ষ তলিয়ে যায়। বাধ্য হয়ে শিক্ষকদের বিদ্যালয় ছুটি দিতে হয়।
সরজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের টিন ছাপড়ার মধ্যে ক্লাস চালিয়ে যাচ্ছেন অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক/শিক্ষিকাগন। সহকারী শিক্ষক মো আফিজার রহমান ৫ম শ্রেণীর ক্লাস নিয়ছেন কিন্তু শ্রেণীর কক্ষের অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে তার গায়ের টিশার্ট ও প্যান্ট ঘেমে ভিজে গেছে আর ছাত্র /ছাত্রীদের মাঝে একই অবস্থা দেখা যায়।
বিদ্যালয়ে কক্ষের ভেতরে প্রচন্ড তাপমাত্রা ভবনটির চারপাশে টিন দিয়ে ঘেরা। ছাপড়ার উপরে কোন গাছপালা না থাকায় সূর্যের তাপ সরাসরি ছাপড়ার উপরে পরে, আবার টিনের বেড়া দিয়ে ঘেরা হওয়ার কারনে বাহিরে কোন প্রকার বাতাস শ্রেণী কক্ষে প্রবেশ করতে পারে না।
অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ফেন্সি আক্তার আরো জানান আমার বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় সকল জিনিস আমাকে বহন করে বাসায় আনতে হয় এবং নিয়ে যেতে হয়। বিদ্যালয় কক্ষ জরাজীর্ণ হওয়ার কারণে এখানে কোন জিনিস পত্র রাখা যায় না। বিদ্যালয়ের বিস্কুট পাশের বাড়িতে রেখেছি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নরু মোহাম্মদ বলেন, বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ খুবই জরুরি। তিনি আরও বলেন, ওই বিদ্যালয়ে পাঠদান উপযোগি করার লক্ষ্যে বরাদ্দ চেয়ে অধিদপ্তরে পত্র পাঠিয়েছি।