প্রধান মেনু

পরিবেশ দূষণ ও বিষাক্ত আবহাওয়ার সাগরে ভাসছে জনজীবন অতিষ্ঠ

সাঈম সরকারঃ ইপিজেড এলাকা আশুলিয়ায় পরিবেশ দূষন ও বিষাক্ত আবহাওয়ার সাগরে ভাসছে। অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জন জীবন। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় একাধিক বার সংবাদটি প্রকাশ পওয়ার পরেও কর্ণগোচর হয়নি কারো। বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের আদেশ ক্রমে পরিবেশ রক্ষায়, নদী-নালা ও মহাসড়কের পাশে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান যদিও চলমানরত। তবুও থেমে নেই সমাজের অলস ও অসৎ অর্থলোভী নোংড়া মনের কিছু মানুষ।

তারা যেখানে বসে খাবার খায়, সেখানেই মল ত্যাগ করে থাকে। এমন পরিস্থিতি চোখে পরে কালিয়াকৈর-নবীনগর মহাসড়কে বেশ কিছু স্থানে। যেমন- ড্যান্ডাবর ঢাকা পবিস-০১ এর প্রধান গেটের পাশে হাজী জয়নুদ্দিন স্কুলের সামনে, বাইপাইল ব্রীজের নীচ এলাকা, বলিভদ্র বাজার, শ্রীপুর সি.এস.জি পাম্প এর পাশে এবং চক্রবর্তী , জিরানী ও কবিরপুর এলাকা অন্যতম। এসব এলাকার জনগণ পায়ে হেটে চলত দূরের কথা যানবাহনে চলাচল করতেও নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। কখনও কখনও অনেকেই মাথা ঘুড়ে পরে যেতেও দেখা গেছে।

জানা যায়, আশুলিয়া ও গাজীপুর এলাকার ২২৮ টি ময়লাবাহী গাড়ী প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় চিহ্নিত স্থানগুলোতে অনর্গল ময়লা ফেলে আসছে। ৩০ থেকে ৪০ ফুট উঁচু ময়লার স্তুপ পঁচেগলে গিয়ে সেখান থেকে ব্যপক দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পরিবেশ দূষণ ও বিষাক্ত আবহাওয়ায় ভারি হয়ে উঠেছে আশুলিয়া এবং গাজীপুর এলাকার একাংশ। বেড়েই চলছে মশা মাছির প্রজন্ম। ছড়াচ্ছে ব্যপক রোগ বালাই। বিষাক্ত ময়লার দূর্গন্ধে স্বাস্থহানী, শ্বাস কষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এলাকা বাসী এবং পথচারী যানবাহনের চালক ও যাত্রীগণ।

চক্রবর্তী এলাকায় ময়লা ফেলানো কালে ময়লা বাহী গাড়ীর মালিকদের কাছে জানতে পারা যায়- এই স্থানটি তারা ময়লা ফেলানোর জন্য ওসমান নামে এক ব্যক্তির নিকট থেকে ইজারা নিয়েছে। প্রতি মাসে ওসমানকে গাড়ী প্রতি ১০ হাজার টাকা দিতে হয়। এ রকম ময়লা বাহী ২২৮ টি গাড়ী রয়েছে। যা দ্বারা সারা আশুলিয়া ও গাজীপুর এলাকার একাংশ বাসা বাড়ীর সকল ময়লা বহন করা হয়।

এ দিকে চক্রবর্তী এলাকাবাসি সাংবাদিকদের জানায়, কিশোরগঞ্জ আড়ৎ ( চক্রবর্তীর) মালিকানা তত্বাবধানে মোঃ ওসমান (৫০) এর নিয়ন্ত্রণে মহাসড়কে উন্মুক্ত ও খোলা মেলা জায়গায় ময়লা দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। এলাকার জনগণ বিভিন্ন রোগে ভুগলেও প্রতিবাদ করার সাহস কারো নেই। কারণ ওসমান একজন খারাপ প্রকৃতির লোক। উপর মহলের বিভিন্ন সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে তার ভাল সম্পর্ক রয়েছে। তাছাড়া তার রয়েছে এলাকার কিছু বখাটে রাজনৈতিক চ্যালা ও মাদক সেবিদের একটি সন্ত্রাসি বাহিনী।

যার জন্য তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারেনা। যদি কেউ ভুলেও প্রতিবাদ করার সাহস দেখায় তাহলে তার সন্ত্রাস বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে থাকে, তাদের দ্বারা অপমান-লাঞ্চিত না হয়ে বাসায় ফিরতে পারেনা। এমন কি বিভিন্ন মিথ্যা মামলার ভয় ভীতি দেখায়। সাংবাদিকগণ তথ্য সংগ্রহ কালে, মোঃ ওসমান সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, কবিরপুর এলাকার এবং গাজীপুর এলাকায় বসবাসরত অনেক সাংবাদিক আমার চেনা জানা রয়েছে। তাদের সাথেও খুব ভাল সম্পর্ক রয়েছে।

তাছড়া রোড চেঞ্জ হাইওয়ে থেকে শুরু করে রাজনৈতিক কিছু পাতি নেতা ও সরকারী কিছু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে ৪/৫ বছর যাবৎ ময়লা ফেলানোর ব্যবসা করে আসছি। বর্তমানে কিশোরগঞ্জ-চক্রবর্তী আড়ৎ টিও ময়লার স্তুপের উপর প্রতিষ্ঠিত করেছে বলে জানায়। চোখ রাখুন আগামী সংখ্যার তথ্য সংগ্রহ চলছে।