প্রধান মেনু

সৈয়দপুরে আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীকে জবাই করে হত্যার চেষ্টা

নীলফামারী প্রতিনিধি ॥ নীলফামারীর সৈয়দপুরে সাবেক পৌর প্যানেল মেয়র ও ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হিটলার চৌধুরী ভলুর দ্বিতীয় স্ত্রী সুরভী ইসলাম চৌধুরী (পপি) কে গলা কেটে জবাই করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শহরের গোলাহাট ঘোড়াঘাট বাজার সংলগ্ন নিজ বাড়িতে এ হত্যা চেষ্টা ঘটানো হয়। গুরত্বর আহত পপি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসাধীন পপির গলায় ও হাতে ৪০টির অধিক সেলাই দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জীবনের বাবা মুন্নাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। এনিয়ে এলাকাবাসী আতংকিত হয়ে পড়েছে।

জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ২ জন সান্ত্রসী যুবক হিটলার চৌধুরীর অনুপস্থিতে তার বাড়ীতে প্রবেশ করে স্ত্রী সুরভী ইসলাম চৌধুরী (পপি) কে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় তার পাশে শুয়ে থাকা মেয়ে টের পেলে তার চিৎকারে সন্ত্রসারীরা পালিয়ে যায়। সে সময় আশপাশ এলাকার লোকজনরা ছুটে এসে পপিকে উদ্ধার করে প্রথমে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পপির ছোট মেয়ে তাসফিয়া লাবিবা চৌধুরী অদ্রি (৭) জানায়, আমার মায়ের চিৎকারে ঘুম ভেঙ্গে গেলে আমি দেখি আমাদের মহল্লার জীবন (২১) ও রাজা (১৭) চাকু দিয়ে মায়ের গলা কাটছে। তখন আমিও চিৎকার করে কাঁদতে থাকি। আমার মা তাদের লাথি মেরে ও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। রাজা ও জীবন তখন পালিয়ে যায়। আমি আমার মায়ের হত্যা চেষ্টাকারীদের বিচার চাই। এলাকাবাসী অনেকে জানান, জীবন ও রাজাকে ভাল ছেলে হিসেবেই আমরা জানতাম। তারা ভলু চৌধুরীর ফাই ফরমাস খাটতো। তাদের বাড়ির ছেলের মতো উঠাবসা ছিল। কিন্তু তারা যে ভয়ংকর খুনি হয়ে উঠেছে ভাবতেই ভয় করছে। জীবন একই এলাকার মুন্নার ছেলে এবং রাজা মৃত. সাগিরের ছেলে।

এ ব্যাপারে হিটলার চৌধুরীর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ছেলে ২টা আমারই সাথে থাকে। কেন বা কি কারণে তারা এমনটা ঘটালো তা এ মূহুর্তে বলা যাচ্ছেনা। পুলিশ তদন্ত করছে তদন্ত শেষ হলেই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। সৈয়দপুর থানার তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ আবুল হাসনাত জানান, আমরা ঘটনাটি জেনে ঘটনা স্থলে গিয়েছি এবং তদন্ত কাজ শুরু করেছি। এ পর্যন্ত আমরা লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হিটলার চৌধুরী ভলু ও জীবনের বাবা মুন্নাকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ধরণের হত্যা চেষ্টার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।