অবৈধ অনুপ্রবেশকারী ক্যামেরুনের ফিশিং জাহাজ জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ

সরকারের অনুমতি ছাড়া এবং আন্তর্জাতিক ও দেশীয় আইন লংঘন করে FV Wind Sea এবং FV Wind View নামক ক্যামেরুনের পতাকাবাহী ২টি অবৈধ বিদেশি ফিশিং জাহাজ বাংলাদেশের কর্ণফুলী নদীতে প্রবেশের পর বর্তমানে চট্টগ্রামের কন্টিনেন্টাল মেরিন ফিশারিজ এর জেটিতে অবস্থান করছে। মেরামতের অজুহাত দেখিয়ে সম্পূর্ণ ভূয়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে মাছধরার অবৈধ জালভর্তি জাহাজ দুটি ২১ আগস্ট জেটিতে প্রবেশ করে। ২৬ আগস্ট বন্দরত্যাগের কথা থাকলেও এখনো জাহাজ দুটি বাংলাদেশি জলসীমা ত্যাগ করেনি। স্থানীয় এজেন্ট Intermodal Pvt. Ltd. এই অনুপ্রবেশে সহায়তা করে।
বিদেশি অবৈধ ফিশিং জাহাজ দুটির ব্যাপারে সিদ্ধান্তগ্রহণের জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরুর সভাপতিত্বে আজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সভায় এ তথ্য জানানো হয়। জাহাজ দুটির কাগজপত্রে ব্যাপক ত্রুটিসহ ঘষামাজা করে পোর্ট ক্লিয়ারেন্স পরিবর্তন করা হয়েছে বলে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। এমনকি পোর্ট ক্লিয়ারেন্স অনুযায়ী ২৬ আগস্ট বাংলাদেশ ত্যাগ করে জাহাজ দুটির কম্বোডিয়ায় যাবার কথা থাকলেও চট্টগ্রাম বন্দরে এখনো অবস্থান করায় সভায় বিস্ময় প্রকাশ করা হয়।
মেরিন ফিশারিজ একাডেমি, চট্টগ্রাম সামুদ্রিক বন্দর এবং কোস্টগার্ডের সরেজমিন তদন্তে জাহাজ দুটিতে মেরামতযোগ্য কোনো ত্রুটি পাওয়া যায়নি এবং এরা ফিশিং ভেসেল হলেও স্থানীয় এজেন্ট মার্চেন্ট ভেসেল দেখিয়ে কাস্টমসের ছাড়পত্র নেয়ায় সভায় ক্ষোভপ্রকাশ করা হয়। ত্রুটিপূর্ণ এবং সন্দেহযুক্ত কাগজপত্রের ওপর ভিত্তি করে জাহাজ দুটিকে ছাড়পত্র দেয়ায় জড়িত কাস্টম কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
এছাড়াও জাহাজ দুটির সঠিক তথ্য ও মোটিভ নিরূপণের জন্য আগামীকালের মধ্যে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নেতৃত্বে একটি তদন্তকমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম মণ্ডল, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম এফেয়ার্স বিভাগের সচিব রিয়াল এডমিরাল (অবঃ) মোঃ খোরশেদ আলমসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, নৌবাহিনী, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।