মুক্তিযুদ্ধ ও আফসার বাহিনী

উসমান গনি তুহীনঃ আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ময়মনসিংহের পাহাড়ী এলাকা ভালুকায় বিশাল এক বাহিনী গড়ে তুলেছিলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেওয়া সৈনিক আফসার উদ্দিন আহমেদ। আফসার উদ্দিনের নামে পরিচিত এ বাহিনী শত্রুদের কাছ থেকে অস্ত্র সংগ্রহ ও প্রশিক্ষণসহ সব কাজই সেরেছে দেশের ভেতর।এ বাহিনী ভালুকা, ত্রিশাল, ফুলবাড়িয়া, গফরগাঁও, গাজীপুরের শ্রীপুর, জয়দেবপুর, মির্জাপুর ও কালিয়াকৈরসহ আশপাশের এলাকায় মুক্তাঞ্চল গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিল। যুদ্ধকালিন এ বাহিনী পরিচিতি পায় আফসার বাহিনী নামে।মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য এলাকার মানুষের কাছে কিংবদন্তিতে পরিণত হন আফসার উদ্দিন আহমেদ। যুদ্ধে নিজ সন্তানকেও হারিয়েছেন এই বীর।
আফসার উদ্দিন আহমেদ ১৯৪১ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। যুদ্ধ শেষে ১৯৪৮ সালে বাড়িতে চলে আসেন।১৯৭১ সনে ৭ই মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ঘোষণাকে ধারণ করে তৎকালীন ভালুকা থানা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আফসার উদ্দিন আহমেদ ভালুকা থানার রাজৈ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল হামিদ মেম্বারের একটি রাইফেল সংগ্রহ করে মরহুম মেজর আফসার উদ্দিন আহাম্মেদ ৭জন সদস্য নিয়ে ২৩শে এপ্রিল/৭১ইং তারিখ অত্র থানার নিবৃত পল্লী মল্লিকবাড়ী বাজারে গঠন করেন মুক্তিবাহিনী। তারা হলেন আমজাদ হোসেন, আবদুল খালেক, নারায়ণ চন্দ্র পাল, আবদুল বারেক, আবদুল মান্নান, অনিল চন্দ্র সাংমা ও ছমর উদ্দিন।শুরুর দিকে ভালুকার রাজৈ গ্রামের আওয়ামী লীগের কর্মী আবদুল হামিদের কাছ থেকে একটি রাইফেল ও ৩১ রাউন্ড গুলি সংগ্রহ করেন আফসার উদ্দিন।তাকে বাহিনী গঠনে সাহায্য করেন মাওলানা আলী ফকির, ডা. হাফিজ উদ্দিন, আবদুর রাজ্জাক, আবদুল হাফিজ, মোছলেম মিয়া ও বাবু প্রেমনাথ অধিকারী।
আফসার উদ্দিনের ভাষায়, আমি মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রশিক্ষণ শিবির গঠন করেছি, এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর ইপিআর-আনসার-মোজাহিদদের ভেতর থেকে অনেকেই অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার বাহিনীতে যোগ দিতে থাকেন। কয়েক দিনের মধ্যেই ৫০০ মুক্তিযোদ্ধার এক বাহিনী গড়ে তুললাম।আফসার বাহিনীতে স্থানীয় জনতা ও ছাত্ররা সংখ্যায় বেশি ছিলেন। তবে কিছু আনসার, পুলিশ ও সেনা সদস্যও ছিলেন।আফসার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ছিলেন তিনি নিজেই। সহকারী অধিনায়ক ছিলেন পাঁচজন। তাদের মধ্যে দুজন শহীদ হয়েছেন।আফসার বাহিনী ১৫০টি যুদ্ধে অংশ নেয়। ব্যক্তিগতভাবে তিনি ৭৫টি যুদ্ধে অংশ নেন বলে জানা যায়।২১ মে ভালুকা থানা আক্রমণ করে ১৬টি রাইফেল, ৩০টি বেয়নেট ও এক হাজার ৬০০ রাউন্ড গুলি হস্তগত করে আফসার বাহিনী।বাহিনী একাধিকবার ভালুকা থানায় অভিযান চালিয়ে পুলিশের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে।
এছাড়া ও বিভিন্ন স্থান হতে তৎকালীন বাঙ্গালী ই.পি.আর আনসারদের ফেলে যাওয়া অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে আফসার বাহিনী। সদস্য সংগ্রহ করে আফসার উদ্দিন আহমেদ বাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি করতে থাকে। এক পর্যায়ে আফসার বাহিনীর সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় সারে চার হাজার। বৃটিশ ভারত সেনা বাহিনীর (অবসরপ্রাপ্ত) সুবেদার মেজর , আফসার উদ্দিন আহমেদ তার বাহিনীকে সামরিক বাহিনীর নীতিমালা অনুযায়ী ৫ টি ব্যাটালিয়ানে ভাগ করে প্রতি ব্যাটেলিয়ানে ৫টি করে কোম্পানী প্রতি কোম্পানীতে ৩টি করে প্লাটন প্রতি প্লাটনে ৩টি করে সেকশান প্রতি সেকশানে ১৫ জন করে অস্ত্রধারী মুক্তিসেনা ছিল। স্বহস্তে প্রতিষ্ঠিত আফসার বাহিনীর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে শেষ পর্যন্ত আফসার উদ্দিন আহমেদ বীরত্বের সাথে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন তিনি শপথ করে বলেছিলেন আমার মৃত্যু হলে যেন স্বাধীন বাংলার মাটিতেই হয় দেশ স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত এই অস্ত্র ত্যাগ করবনা এবং কারো সাথে কোন প্রকার আপোষ করব না। অফসার উদ্দিন আহমেদ তার এই শপথ রক্ষা করেছেন সাহসিকতার সাথে।
বাংলাদেশ দলিলের ষষ্ঠ ও নবম খন্ডে উল্লেখ করা হয় ১৯৭১ সনে ২৫ শে মার্চ কাল রাতে পাক হানাদার বাহিনী যখন ঢাকায় ঘুমন্ত মানুষের উপর নির্বিচারে গুলি চালায়, যখন লাখ লাখ বাঙ্গালীকে হত্যা করা হয়, যখন দেশের রাজনৈতিক নেতাসহ সর্বস্তরের লাখ লাখ মানুষ প্রতিবেশী বন্ধুরাষ্ট্র ভারতে আশ্রয় নিচ্ছে, ঠিক সেই মুহুর্তে ভালুকা থানা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আফসার উদ্দিন তৎকালিন স্বাধীন বাংলা সরকার ও ভারত সরকারের কোন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা ছাড়াই দেশের অভ্যন্তরে ভালুকা থানার মল্লিকবাড়ী বাজারে তার বাহিনীকে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। দলিলে আরো উল্লেখ করা হয় যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে স্বাধীন বাংলা সরকার সুষ্ঠুভাবে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য দেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে। এ ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে নিজস্ব উদ্যোগে দেশের ভিতরে যে কটি অনিয়মিত বাহিনী গড়ে উঠে তার মধ্যে ময়মনসিংহের আফসার বাহিনী অন্যতম।
আফসার বাহিনীর উল্লেখযোগ্য যুদ্ধ ছিল ভালুকা থানাধীন ভাওয়ালিয়াবাজু যুদ্ধ। ২৫ জুন ১৯৭১ পাকবাহিনী সড়ক পথে গফরগাঁও থেকে ভালুকা আসার পথে আফসার বাহিনী বাধা দিলে ভাওয়ালিয়াবাজু নামক স্থানে যুদ্ধ বাধে। এক টানা ৪৮ ঘন্টা যুদ্ধ চলারপর পাক বাহিনীর অবস্থানে দুটি হেলিকাপ্টার থেকে মুক্তি বাহিনীর অবস্থানে পিছনে (ধলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে) ছাত্রসেনা অবতরণ করায় । এই যুদ্ধে আফসার বাহিনীর তরুণ মুক্তি সেনা ৮ম শ্রেনীর ছাত্র আঃ মান্নান শহীদ হন।এই যুদ্ধে ৯৫জন পাক সেনা নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়। আফসার বাহিনীর এই একটানা ৪৮ ঘন্টার যুদ্ধের খবর তৎকালিন স্বাধীন বাংলা বেতার, বিবিসি ও আকাশবানী থেকে ফলাও করে প্রচার করা হয়। ঢাকা বেতার অবশ্য এই যুদ্ধের খবর পাক বাহিনীর পক্ষে প্রচার করে ছিল।এই যুদ্ধে অধিনায়ক আফসার উদ্দিন আহম্মেদ নিজে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
এছাড়াও টঙ্গাইলের বল্লায় এক টানা ৩ ঘন্টা যুদ্ধ ও গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার ফুলবাড়িয়া বাজারে পাক বাহিনীর সাথে একটানা ১৮ ঘন্টা যুদ্ধ সহ এই অঞ্চলে প্রায় দেড় শতাধিক সফল যুদ্ধ পরিচালা করে শত শত পাক ও রাজাকার বাহিনীর সদস্যদেরকে নিহত ও আত্মসমর্থনে বাধ্য করেন। এসব যুদ্ধে আফসার বাহিনীর ৪০ জনের বেশী সাহসি মুক্তি সেনা শাহাদাত বরুণ করেন। শহীদদের মাঝে অধিনায়ক আফসার উদ্দিন আহম্মেদের ৩য় পুত্র ৭ম শ্রেণীর ছাত্র নাজিম উদ্দিনও রয়েছে।
আফসার বাহিনী ঘোষিত মুক্ত এলাকা ভালুকা, ত্রিশাল, ফুলবাড়িয়া, গফরগাঁও, কালিয়াকৈর, শ্রীপুর, কালিহাতি ও সখিপুর থানা এলাকার যেখানে পাক ও রাজাকার বাহিনী প্রবেশ করেছে সেখানে মুক্তি সেনারা বাধা দিয়েছে। আফসার বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা অধিনায়ক আফসার উদ্দিন আহম্মেদ ১৭ সেপ্টম্বর ১৯৭১ ভারতের আগরতলায় হাপানিয়া ক্যাম্পে গিয়ে মেজর শফিউল্লাহর সাথে দেখা করে তার বাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন এবং উনার মাধ্যমে ১১ নং সেক্টরে প্রধান মিত্র বাহিনীর ব্রিগেডিয়ার সানসিং বাবাজির সাথে কথা বলেন ও সার্বিক সাহায্য সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে তার ভূয়সী প্রসংশা করেন। এর পর মেজর আফসার তার বাহিনীর ৫৬৫ জন মুক্তিসেনা ঢালু ক্যাম্পে পর্যায়ক্রমে প্রশিক্ষনের জন্য প্রেরুণ করেন। যুদ্ধ চলাকালিন সময়ে মেজর আফসাররের নেতৃত্বে এস এ কালামের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় সাপ্তাহিক জাগ্রত বাংলা পত্রিকা। বিভিন্ন যুদ্ধের সফলতার খবর প্রকাশ করে এই পত্রিকা মুক্তিকামী মানুষের কাছে বিতরণ করা হত। এমনকি কৌশলে এই পত্রিকা পৌছে দেয়া হত পাকবাহিনীর ক্যাম্পে।
আফসার বাহিনীর মুক্তি সেনারা ৮ ডিসেম্বর ভালুকা ৯ ডিসেম্বার ত্রিশাল ও গফরগাঁও থানা সদর ১০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ পাক ও রাজাকার বাহিনী মুক্ত করে এবং ময়মনসিংহ মহিলা ক্যাডেট (প্রাক্তন রাবেয়া গালর্স স্কুল) কলেজে ক্যাম্প স্থাপন করে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সনে বাংলাদেশ সরকার অনিয়মিত আফসার বাহিনীকে ১১ নং সেক্টরে অন্তর্ভূক্ত করে এফ জে/১১ সাব সেক্টর হিসেবে ঘোষনা করে প্রশংসা পত্র প্রদান করেন। মেজর আফসার উদ্দিন ১৯৭২ সনে ভালুকায় রেডক্রস পরিচালিত আফসার ব্যাটেলিয়ান স্মৃতি হাসপাতাল নামে একটি বিলাস বহুল আধুনিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। পরে দরিদ্র মানুষের সুচিকিৎসার্থে ভালুকা গফরগাও ও শ্রীপুর থানা এলাকায় আরও ৮ টি শাখা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে। এসময় মেজর আফসার জাসদের রাজনীতিতে জড়িয়ে পরেন এবং ১৯৭৪ সনে জেলে চলে যান।
একই বছর সকল শাখাসহ ভালুকা থেকে এই হাসপাতাল সরকার প্রত্যাহার করেন। ফলে এই এলাকার হাজার হাজার মানুষ উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়। এসময় মেজর আফসার তিন বছর কারাবরুণ করেন।১৯৭২ সনে মেজর আফসার তার পুত্রের নামে মল্লিক বাড়ি জুনিয়র হাইসকুল কে শহীদ নাজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় নামে প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি জেলা জাসদের প্রতিষ্ঠা সাধারণ সম্পাদক ও ১৯৭৮ সনে জেলা জাসদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এসময় গঠিত জাসদের সহযোগি সংগঠন মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রাম পরিদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেন মেজর আফসার। মেজর আফসার ১৯৯০সনে আওয়ামীলীগে যোগদান করে ঐ বছর আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটের ব্যবধানে ভালুকা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালে মেজর আফসার তার বাহিনীর ২৬জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নামে ভালুকা পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে নির্মাণ করেন মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ এবং ভালুকা সদর সহ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ২৬ সড়কের নাম করণ করেন ২৬জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নামে। আফসার বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা, ঢাকা (উত্তর) আর ময়মনসিংহ (দক্ষিণ) অঞ্চলের সাব-সেক্টর কমান্ডার, ভালুকার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, শহীদপিতা,বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম মেজর আফসার উদ্দিন আহম্মেদ জাতির গর্ব তথা ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ ময়মনসিংহ বাসীর অহংকার।
দেশপ্রেমিক এই মুক্তিযোদ্ধা মেজর আফসার উদ্দিন আহম্মেদ ১৯৯৩ সনের ৬ সেপ্টেম্বর ৭১ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন।বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ ও বাঙালী জাতি যতদিন থাকবে তত দিন আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে মেজর আফসার উদ্দিন আহ্মেদের বীরত্বপূর্ন ইতিহাস জাতিশ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। আজ ৬ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার বিকেল ৩টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে মেজর আফসার উদ্দিন আহমেদ এর মৃত্যু দিবসে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভালুকা কমান্ড স্মরণ সভা,কুরআন খানি ও মিলাদ মাহফিল এর আয়োজন করেছে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডঃ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, প্রেসিডিয়াম সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও মাননীয় কৃষিমন্ত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জনাব আহমদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ।এডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন সিরাজ, সাংগঠনিক সম্পাদক, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জনাব অসীম কুমার উকিল এমপি, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, জনাব মির্জা আজম এমপি,সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও মাননীয় সাবেক পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। জনাব শরীফ আহমেদ এমপি,মাননীয় সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।জনাব কে, এম খালিদ এম.পি,মাননীয় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। বীরমুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ এম.পি, হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন মাদানী এম.পি।জনাব মোঃ এবাদুল করিম এম.পি,ব্রাহ্মণবাড়ীয়া-৫, ২৪৭ (নবীনগর)।আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু এমপি,জনাব আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন এম.পি। জনাব ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল এম.পি জনাব আর জুয়েল আরেং এম.পি, জনাব মনিরা সুলতানা মনি এম.পি সহ জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ।