প্রধান মেনু

প্রবীণ নাগরিকদের জন্য শান্তি নিবাস চালু করা হবে — সমাজকল্যাণ মন্ত্রী

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, বর্তমান সরকার প্রবীণ জনগোষ্ঠীর নিরাপদ জীবন নিশ্চিতে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। অসহায় প্রবীণদের নিরাপদ জীবনের জন্য ৬৪ জেলায় শান্তি নিবাস চালু করা হবে। মন্ত্রী আজ রাজধানীর আগারগাঁওস্থ সমাজসেবা অধিদপ্তরের মিলনায়তনে প্রবীণ হিতৌষি সংঘ ও জরা বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪ তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে স্বাধীনতার চেতনাকে নস্যাৎ করতে চেয়েছিল। জাতির সামনে তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়ে গেছে। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবীণদের কল্যাণে কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন, তিনি ৪ লাখ ৩ হাজার বয়ষ্ক ব্যক্তিকে মাসিক ১০০ টাকা করে ভাতা প্রদান শুরু করেছিলেন। বর্তমানে এ সংখ্যা ৪৪ লাখে উন্নীত করা হয়েছে। মন্ত্রী জানান, অসহায় প্রবীণদের নিরাপদ জীবনের জন্য দেশের ৬৪ জেলায় সরকারি শিশু পরিবারে শান্তি নিবাস চালু করা হবে। সেখানে বিনোদন-সহ নিরাপদে বসবাসের সকল সুবিধা রাখা হবে।

পাশাপাশি যারা উৎপাদনশীল কাজে সম্পৃক্ত হতে চান তাদের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হবে। উৎপাদিত পণ্য বিক্রয়ের জন্য আউটলেট রাখা হবে। মন্ত্রী প্রবীণ নাগরিকদের উদ্দেশে বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পরপরই অবহেলিত, পশ্চাদপদ ও বঞ্চিত মানুষের কল্যাণে সংবিধানে তাদের অধিকারের কথা সন্নিবেশিত করেছেন। বঙ্গবন্ধুই স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে প্রবীণ হিতৌষি সংঘকে সুসংসগঠিত করার নির্দেশনা দিয়েছিলেন।

প্রবীণদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দেশ পরিচালনায় নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু চিন্তা করেছিলেন। প্রবীণ হিতৌষি সংঘ ও জরা বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ক্যাপ্টেন (অবঃ) এ কে এম শামসুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রবীণ হিতৌষি সংঘের মহাসচিব অধ্যাপক ড. এ এস এম আতীকুর রহমান, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইসমাইল হোসেন ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গাজী মোহাম্মদ নুরুল কবির প্রমুখ।