বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি সকল নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচে

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো- অর্ডিনেশন সেন্টারের আজ দুপুর ১টার প্রতিবেদন অনুযায়ী গঙ্গা নদী ব্যতীত দেশের প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮০টি স্থানে পানির সমতল হ্রাস পেয়েছে, বৃদ্ধি পেয়েছে ১০টি স্থানে। সকল নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচে নেমে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয় রংপুর, রাজশাহী, কুষ্টিয়া, যশোর, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পুর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
সেই সাথে বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর (পুনঃ) ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ গুজরাট, রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যমঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সরকার গত ১ জুলাই থেকে আজ পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায় ২৮ হাজার ৬৫০ মে. টন চাল, ৪ কোটি ৯৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ১ লাখ ১৮ হাজার কার্টুন শুকনা খাবার, ৮ হাজার ৫০০ সেট তাঁবু, ৫৪ হাজার ৭০০ বান্ডিল ঢেউটিন, গৃহ নির্মাণে ১৬ কোটি ৪১ লাখ টাকা, শিশুখাদ্য ক্রয়ে ১৮ লাখ টাকা এবং গোখাদ্য ক্রয়ে ২৪ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রদান করেছে।