তাসখন্দে বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতীয় শোক দিবস পালন

তাসখন্দে বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়। বাংলাদশ দূতাবাস এ লক্ষ্যে বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল সকালে বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, রাষ্ট্রদূত কর্তৃক রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর এবং কাউন্সেলর কর্তৃক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ এবং বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্য দোয়া। এ উপলক্ষে সকালে চ্যাান্সেরি ভবনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তা, প্রাক্তন সংস্কৃতি মন্ত্রী তুরছুন আলী কুজিয়েভ, প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে গোলাম নবী ও রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। আলোচনা সভায় বক্তারা স্বাধীনতা বিরোধী কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় ঘটা নৃশংস হত্যাকা-ের কঠোর সমালোচনা করেন এবং ভবিষ্যতে সকলকে একসাথে এ ধরনের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে পাকিস্তানের শৃঙ্খল থেকে দেশকে মুক্ত করে এবং আমরা আমাদের কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা লাভ করি। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রদত্ত ৬ দফা ছিল জাতির জন্য ম্যাগনাকার্টার সমতুল্য। তিনি বঙ্গবন্ধুর আজীবন লালিত স্বপ্ন সোনার বাংলা নির্মাণে দেশে বিদেশে অবস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশি ও বাংলাদেশের শুভাকাক্সক্ষীদের প্রতি আত্মনিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি শিশুদের মাঝে বই বিতরণ করেন। আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের ওপর নির্মিত প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
সব শেষে রাষ্ট্রদূত চ্যান্সেরি ভবনে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপরে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। প্রদর্শনীতে ২৪টি আলোকচিত্র স্থান পেয়েছে। বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পাঁচজন শিশু কবিতা আবৃতি করে। পরে উজবেকিস্তান হাবাস গ্রুপের শিল্পী কাহারমন গোলামজান ‘শোন একটি মুজিবরের কণ্ঠ থেকে লক্ষ মুজিবরের কণ্ঠধ্বনি’ সংগীত পরিবেশন করেন। সব শেষে আমন্ত্রিত অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়।