ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে জনসচেতনতা ও জনসম্পৃক্ততা জরুরি — স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে জনসচেতনতা ও জনসম্পৃক্ততা জরুরি। বাংলাদেশ স্কাউটের কার্যক্রম দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত। কাজেই স্কাউটদের এ কাজে লাগাতে হবে। তিনি বলেন, বসতবাড়ি ও আঙিনা পরিষ্কারের পাশাপাশি ড্রেন, লেক, খাল প্রভৃতিও পরিষ্কার রাখতে হবে এবং বায়ু দূষণ ও নদী দূষণের মতো বিষয়গুলোও বিবেচনায় রাখতে হবে। মন্ত্রী আজ রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় স্কাউট ভবনের শামস্ হলে ‘পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ’ নির্মাণে ডেঙ্গু সচেতনতাসহ অন্যান্য দুর্যোগকালীন উত্তমসেবা প্রদানের লক্ষ্যে ৯টি সংস্থা, বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বহুপক্ষীয় সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষরকারী ৯টি সংস্থা, বিভাগ ও মন্ত্রণালয় হলো – বাংলাদেশ স্কাউটস, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তর, এটুআই, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং ই-কমার্স এসোসিয়েশন অভ্ বাংলাদেশ। চুক্তি অনুযায়ী পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সংক্রমিত রোগ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রযুক্তির সহায়তায় নাগরিক পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে যে যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করবে।
বাংলাদেশ স্কাউটসের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মোঃ আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান ও বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রধান জাতীয় কমিশনার ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শাহ কামাল, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ইউসুফ হারুন,
ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সারসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। চুক্তি স্বাক্ষরের পর মন্ত্রী ‘স্টপ ডেঙ্গু’ নামে একটি বিশেষায়িত অ্যাপের উদ্বোধন করেন। ই-ক্যাব বাংলাদেশের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অ্যাপটি তৈরিতে কারগরি সহায়তা প্রদান করে ই পোস্ট ও বিডি ইয়ুথ। ‘স্টপ ডেঙ্গু’ অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে সারা দেশের মশার প্রজনন স্থানের ম্যাপিং করা হবে। ফলে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থাসমূহ যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারবে।