প্রধান মেনু

পঞ্চগড়ে প্রতারক চক্রের খপ্পরে পরে ৩৭ জনের হজে যাওয়া হল না

এন এ রবিউল হাসান লিটন, রিপোর্টার, বোদা, পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ে বিভিন্ন উপজেলার ৩৭ জনের হজে যাওয়া হলোনা এক প্রতারক চক্রের খপ্পরে পরে। কোটি টাকা নিয়ে গাঁ ঢাকা দিয়েছে ওই প্রতারক চক্রটি। টাকা উদ্ধারসহ প্রতারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রোববার প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। জানা যায়, পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন উপজেলার ৩৭ জন ব্যক্তি পঞ্চগড় সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের টুনিরহাট এলাকার ওয়াছেদ আলী নামে এক মোয়াল্লেমের কাছে হজে যাওয়ার জন্য টাকা দেন। ২ থেকে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়ে তাদের প্রাক নিবন্ধন করা হয়।

কিন্তু হজের দুই মাস আগে থেকে ওয়াছেদ তাদের সঙ্গে টালবাহানা শুরু করে। কুমিল্লার লাকসাম এলাকার আব্দুল জলিল এবং ওয়াজেদ এটিএম ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস লিমিটেড ও সানফ্লাওয়ার এয়ার লিংকার্সসহ বিভিন্ন হজ এজেন্সির নামে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে গেছে। এদিকে মোয়াল্লেম ওয়াছেদ আলী ও আব্দুল জলিলের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাদের নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

বোদা উপজেলার কালিয়াগঞ্জ ধামেরঘাট এলাকার দারাজ উদ্দিন বলেন, “হজে যাবো সবাইকে বলেছি। টাকাও দিয়েছি ২ লাখ। কিন্তু হজে যেতে পারলাম না। আমি এখন অসহায়।” তেঁতুলিয়া উপজেলার বসির আলম বলেন, “আমার কাছে আড়াই লাখ টাকা নিয়েছে। জুন মাসে ফ্লাইটে যাওয়ার কথা ছিল। পরে আবার তারিখ পরিবর্তন হয়েছে বলে জানালো।

পঞ্চগড় জেলা শহরের মিলগেট এলাকার ক্বারী কছিম উদ্দিন বলেন, “শেষ মুহূর্তে এসে আমরা জানতে পারি প্রতারকের খপ্পরে পড়েছি। তারা গাঢাকা দেয়। আমাদের ভুয়া মেডিকেল করিয়েছে তারা। আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে জমা দেয়নি। এমনকি আমাদের পাসপোর্টগুলোও তাদের হাতে আছে। আমরা আমাদের টাকা ও পাসপোর্ট উদ্ধারসহ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাই।”

জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি তাদের প্রাক-নিবন্ধন হলেও মূল নিবন্ধন না হওয়ায় তাদের এবার হজে যাওয়ার সুযোগ নেই। ভুক্তভোগীদের আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।