প্রধান মেনু

অনলাইন কাইজেন প্রয়োগে শিল্প কারখানায় শতকরা ২৫ ভাগ পর্যন্ত উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি সম্ভব

উৎপাদন প্রক্রিয়ায় সচেতনতা ও নজরদারি বাড়িয়ে শিল্প কারখানায় শতকরা ৫ থেকে ২৫ ভাগ পর্যন্ত উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা সম্ভব। এর জন্য কোনো ধরনের উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির প্রয়োজন হয় না। এ ক্ষেত্রে জাপানের ঐতিহ্যবাহী অনলাইন কাইজেন (কঅওতঊঘ) পদ্ধতির অনুসরণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এটুআই প্রকল্পের আওতায় ‘পাটকলে অনলাইন কাইজেন  পদ্ধতির বাস্তবায়ন’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

দিনব্যাপী এ কর্মশালায় ৩৫টি পাটকলের নির্বাহী ও কারিগরি শাখার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ অংশ নেন। এতে অনলাইন কাইজেন সফটওয়্যার ব্যবহার করে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও উৎপাদন কার্যক্রম মনিটরিংয়ের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। শিল্পসচিব মোঃ আবদুল হালিম এতে প্রধান অতিথি ছিলেন। এনপিও’র পরিচালক এস এম আশরাফুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব লুৎফুন নাহার বেগম বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে বক্তাগণ বলেন, পাটকলে সনাতনী বা ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে কাইজেন বাস্তবায়নে সময় ও জনবল উভয়ই বেশি লাগে এবং প্রত্যাশিত উৎপাদনশীলতা অর্জন সম্ভব হয় না। অনলাইন কাইজেন সফটওয়্যার ব্যবহারের ফলে সহজেই উৎপাদন পদ্ধতি তদারকি করা সম্ভব। এতে অল্প সময়ে অধিক উৎপাদনশীলতা অর্জনের সুযোগ তৈরি হয়। পাটকলে এ পদ্ধতি চালুর মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও পণ্য বৈচিত্র্যকরণের প্রয়াস জোরদার করে পাটের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে বক্তাগণ মন্তব্য করেন।

শিল্পসচিব বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে ধানসহ অন্যান্য কৃষিপণ্যের ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণে উৎপাদনশীলতা বাড়লেও পাট ও আখ ফসলের উৎপাদনশীলতা সে পরিমাণে বাড়েনি। এর ফলে পাট ও চিনিকলগুলো ক্রমেই অলাভজনক হয়ে পড়েছে। এর পাশাপাশি পাটের বিকল্প হিসেবে সস্তায় অন্য পণ্য উৎপাদনের ফলে পাটশিল্প মারাত্মক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। এ অবস্থার উত্তরণে তিনি এ খাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং পাটের বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দেন।

এক্ষেত্রে এ শিল্পের গুণগত মানোন্নয়ন ও উৎপাদনশীলতা বাড়াতে পাটকলগুলোতে অনলাইন কাইজেন পদ্ধতি ইতিবাচক অবদান রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। শিল্পসচিব আরো বলেন, বিশ্ববাজারের প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি পণ্য টিকে থাকার জন্য শিল্পখাতে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে। পাট ও চামড়াশিল্পের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার কাজ করছে। শিল্প মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে পরিবেশবান্ধব ট্যানারি শিল্পপার্ক স্থাপন করেছে।