প্রধান মেনু

ফরিদপুরে স্কুল কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কেটে নেওয়ার  অভিযোগ

 
মোঃমাহফুজুর রহমান বিপ্লব, ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ  ফরিদপুর সদর ১নং ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫টি মেহেগনি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি উজ্জল সরকার (লোটন) ও ঈশান ইনষ্টিটিষ্টশনে প্রধান শিক্ষক  এ কে এম ইউছুব আলীর বিরুদ্ধে। 
 
সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায়, প্রাইম স্কুলের চত্বরে বেশ কিছু মেহগনি গাছ হাইস্কুলের দেয়াল গিরে রয়েছে,  স্কুলের ভবন নির্মান কাজের সার্থে ৭টি মেহেগনি গাছ সরকারি নিয়ম মোতাবেক ভাবে  কাটার অনুমোদন থাকলেও,ঈশান ইনষ্টিটিঈশনের  প্রধান শিক্ষক এ কে এম ইউছুব আলী  ও প্রাইমারি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি উজ্জল সরকার (লোটন)সরকারি কোন  নিয়ম তোয়াক্কা না করে কারো অনুমোদন ছাড়া বিদ্যালয়ের ৫টি মেহেগনি গাছ কেটে নিয়েছে। 
 
এই বিষয়ে প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা আসমা খানম কে প্রশ্ন করা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানায়, গাছ বিক্রয়ের সময় তিনি ছুটিতে ছিলেন, এই বিষয়টি যখন জানলেন তখন কি করলে সেই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,   আমি তাকে কি কারনে গাছ কেটেছেন প্রশ্ন করলে  তিনি বলেন এটা আমার লাগনো গাছ তাই আমি কেটে নিয়েছি ।
 
ঈশান ইনষ্টিঈশনের প্রধান শিক্ষক এ কে এম ইউছুব আলী গাছ কাটা বিষয়টি শিকার করে বলেন, প্রাইমারি স্কুলের ভবন নির্মান কাজে সময় গাছ গুলো হেলায় পড়ায়  গাছগুলো কাটা হয়েছে, এই গাছগুলো আমার নিজ হাতে লাগনো, তাই আমি কেটেছি এটার জন্য কারো অনুমতি নিতে হবে সেটা আমি মনে করি না, তাছাড়া এই গাছ কাটার সময় মাধ্যমিক কিক্ষা অফিসার উপস্থিত ছিলেন, আমি তার অনুমতি নিয়ে গাছ কেটেছি।পরে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের অনুমতি নেয়া হয়েছে। কি ভাবে প্রাইমারি স্কুলের জায়গা অবস্থিত গাছ আপনি  কাটলেন এই প্রশ্নের উত্তর তিনি বলেন,প্রাইমারি স্কুলের ভবন নির্মানের সমস্যার জন্য এই গাছ কাটা হয়েছে।
 
তা ছাড়া এটা আমার নিজ হাতে লাগনো গাছ। আমি কাউকে জানানোর প্রয়োজন মনে করি না, আমার কাছে কোন অনুমোদন নেই, আমি কোন টেন্ডার দেয়নি, এখানে উপজেলা প্রাথমিক  শিক্ষা অফিসার মোঃ আবু আহাদ গাছ কাটার সময় উপস্থিত ছিলেন।ইউনিয়ের চেয়ারম্যানের ও ব্যাপারটি জানেন।
 
এই বিষয়ে প্রাইমারির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি উজ্জল সরকার (লোটন) কে তার মোবাইল  ০১৭১৬৬৮২৭৬৩ ফোনে প্রশ্ন করা হলে তিনি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলতে বলেন, তিনি সাংবাদিকদের কোন প্রশ্নের উত্তর দিবে না।
 
ঈমান গোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম মজনু কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ঈশান ইনষ্টিটিঈশনের প্রধান শিক্ষক এ কে এম ইউছুব আলী আমাকে বলে প্রাইমারি স্কুলের ভবন নির্মান কাজ করতে যেয়ে গাছগুলো হেলায় পড়ছে কাজ করতে সমস্য হচ্ছে, আমি তাকে বলি যদি তাই হয় তাহলে গাছ কেটে আপনি আপনার নিজ জিম্মায় রাখেন পড়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে জানিয়ে তার নির্দেশ মোতাবেক  কাজ করা যাবে।
 
 সদর উপজেলা প্রাইমারি শিক্ষা অফিসার মোঃআবু আহাদ এর সাথে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে না পেয়ে তার বক্তব্যে নেয়ার সম্বাব হয় নাই।পরে সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে জানতে পারি   প্রাইমারি শিক্ষা অফিসার  মোঃ আবু আহাদ দেশের বাইরে রয়েছেন।
 
এই বিষয়ে ফরিদপুর সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মাসুম রেজা বলেন,  এই বিষয়ে কিছুটা আমি জানি বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যাবস্থা নিবো, প্রাইমারি শিক্ষা অফিসার কি ভাবে একা এই গাছ কাটার অনুমোদন দিলেন এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন তিনি কখনো একা এই ব্যাপারে অনুমোধন দিতে পারে না, কারণ আমাদের একটি কমিটি রয়েছে। যদি তিনি ঘটনা স্থানে উপস্থিত থাকা কালিন গাছ কাটা হয়ে থাকে তাহলে তিনি শিষ্টাচার গুরুত্ব অন্যায় করেছেন  আমি এই ব্যাপারটি ও দেখবো,
 
এলাবাসীর  সূত্রে জানা যায়, প্রাইমারি স্কুলটি মোট ৩৩ শতাংশ জমির মধ্যে অবস্থিত যার মধ্যে ঈশান ইনষ্টিটিঈশনের ৩ ফিট জায়গা  রয়েছে প্রাইমারি স্কুলের জায়গায়। এবং গাছগুলো প্রাইমারি স্কুলের জায়গায় অবস্থিত।
 
 তারা আরো বলেন এ কে এম ইউছুব আলী ১৯৯৮ সনে এই স্কুলের প্রধান শিক্ষের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে একের পর এক অন্যায় অবিচার দুর্নীতি করে চলছে  এবং তার কাজের সহযোগীতা করে চলছে মা আর ছেলে। ছেলে উজ্জল সরকার (লোটন) প্রাইমারি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, মা লিপিকা সরকার ঈশান ইনষ্টিটিঈশনের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। এরা তিন জন মিলে স্কুলের সকল শিক্ষক শিক্ষিকাদের  জিম্মি করে রেখেছেন, তারা কেউ ভয়তে প্রতিবাদ করতে সাহস পাই না।
 
তারা সবাই এই অন্যায় অবিচার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।