প্রধান মেনু

হাকিমপুর হিলিতে বন্দুক যুদ্ধে মাদক ব্যবস্যায়ী নিহত

মোঃ আল ইমরান, উপজেলা সংবাদদাতা, হাকিমপুর, দিনাজপুর: দিনাজপুরের হিলিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হাতে আটক হওয়ার ১৫ ঘণ্টার মধ্যে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দেলোয়ার হোসেন (৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তিনি মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন বলে দাবি করেছে বিজিবি। বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ২টার দিকে মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে গোলাগুলির সময় বিজিবি’র তিন সদস্যও আহত হয়েছেন বলে বিজিবি দাবি করেছে।
জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল রাশেদ মোহাম্মদ আনিসুল হক জাতীয় গোয়েন্দা সংবাদ কে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সীমান্তের চেংগ্রাম গ্রামে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাস্থল থেকে ৫০০ বোতল ফেনসিডিল ও তিনটি দেশীয় চাপাতি উদ্ধার করে বিজিবি।
নিহত দেলোয়ার হোসেন হিলি সীমান্তের নন্দিপুর এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে।
বিজিবির এই কর্মকর্তা আরও জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে ভারত থেকে দেশে প্রবেশের সময় হিলি সীমান্তের নন্দিপুর এলাকা থেকে ৯৫৮পিস ইয়াবাসহ দেলোয়ার হোসেনকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে সীমান্তের চেংগ্রাম এলাকায় মাদক চোরাকারবারীরা প্রচুর মাদক ও ইয়াবা গাড়িতে ভর্তি করে পাচার করেছে বলে সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয় সে। তার দেওয়া তথ্যমতে রাত ২টার দিকে হিলি সীমান্তের চেংগ্রাম এলাকায় বিজিবির একটি বিশেষ টিম তাকে নিয়ে ইয়াবা পাচারকারীদের ধরার জন্য যায়। আগে থেকেই সেখানে তৈরি হয়ে থাকা মাদক পাচার কারীরা সংঘবদ্ধ ভাবে বিজিবির টহল দলের ওপর হামলা চালায় এবং তাদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এসময় বিজিবি সদস্যরাও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলির একপর্যায়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। প্রতিপক্ষের গুলিতে দেলোয়ার হোসেন গুলিবদ্ধ হয় এবং বিজিবির নায়েক দেলোয়ার, লে. নায়েক মামুন ও সৈনিক মতিন আহত হন। পরে দ্রুত দেলোয়ার হোসেনকে উদ্ধার করে হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত বিজিবি সদস্যরা জয়পুরহাট ব্যাটালিয়নের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এঘটনায় বিজিবি বাদী হয়ে হাকিমপুর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
এদিকে নিহতের ভাতিজা ইমরান অভিযোগ করেন, ‘আমার চাচা এলাকায় মাদকবিরোধী আন্দোলন শুরু করেছিলেন। একারণে যারা মাদক ব্যবসা করে তারা পরিকল্পনা করে বিজিবির মাধ্যমে মাদক দিয়ে আটক করায় আমার চাচাকে। সারারাত তাকে বিজিবি নির্যাতন করে এবং ক্রসফায়ারের নাম করে তাকে হত্যা করেছে। তার নামে কোনও মামলা নেই, কোনও অভিযোগ নেই। তিনি কোনও মাদক ব্যবসায় জড়িত ছিলেন না, তিনি নিরাপরাধ মানুষ ছিলেন। তাই আমার চাচাকে কেন মারা হলো আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
হাকিমপুর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন এ ঘটনায় বিজিবি বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।