ঝিনাইদহের জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোটি টাকার ঘুষ-দূর্নীতির অভিযোগ

শামীমুল ইসলাম শামীম, ঝিনাইদহ ৩১ মে ২০১৯ঃ ঝিনাইদহে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নকিব সাদ সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালকল মালিকদের কাছে উৎকোচ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সদ্য যোগদান কৃত জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নকীব সাদ সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ২০১৯ অর্থ বছরে বোর মৌসুমে চাউল সংগ্রহের জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে কোটি টাকা ঘুষ র্দূনীতি ঘুষ বাণিজ্য করার অভিযোগ উঠেছে। ঝিনাইদহ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সুত্রে জানা যায় যে এ বছর বোর মৌসুমে ৬ টি উপজেলা থেকে ৪৩১ জন চালকল মালিকদের মাধ্যমে ১৫ হাজার ৯ শত ২৭ মেট্রিক টন সিদ্ধ এবং ২ জন চালকল মালিকদের নিকট থেকে ২৩৮ মেট্রিক টন আতপচালসহ মোট ১৬,১৬৫ টন চাউল সংগ্রহ করার কথা। যাহা গত সপ্তাহে শুরু হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকটি উপজেলার চালকল মালিক সমিতির একাধিক সদস্যের অভিযোগ, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নকীব সাদ সাইফুল ইসলাম উৎকোচ আদায়ের সঙ্গে জড়িত। তিনি যোগদানের পর থেকেই নানা কৌশলে চাল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে উৎকোচ আদায় করে থাকেন। তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা গেছে, সরকার নির্ধারিত চাউলের মূল্য সিদ্ধ চাউল ৩৬ এবং আতপ চাউল ৩৫ টাকা কেজি প্রতি নির্ধারিত থাকলেও জেলার চালকল মালিক চাউল ব্যবসায়ীদের কেজি প্রতি ১ টাকা ৬০ পয়সা করে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার নিকট জমা দিতে হয়েছে।জেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক কেজিপ্রতি উৎকোচ গ্রহণ করে যাহা জেলার বিভিন্ন চালকল মালিকদের সাথে কথা বললেই বেরিয়ে আসবে।
তারা আরও জানায় এই বছর যেহেতু ধানের দাম কম তাহাতে এই দামে চাউল সরবরাহ করতে পারলে ভাল লাভ পাওয়া যাবে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার দাবীকৃত টাকা দিতে চালকল মালিকরা কেউ অস্বীকার করে তবে সেই সব চালকল মালিকদের নিকট থেকে চাউল নেওয়া হবে না। তাই ব্যবসায়ীক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এইটা না মেনে নিয়ে চালকল মালিকদের কোন উপায় থাকে না। হিসাব করে দেখা গেছে যে টন প্রতি ১৬০০ টাকা করে ঘুষ দিতে বাধ্য হয়েছে চালকল মালিকরা তাতে ১৬১৬৫ টনে ২ কোটি ৫৮ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা নিয়েছে। এ বিষয়ে জেলা খাদ্য কর্মকর্তা নকিব সাদ সাইফুল ইসলাম সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এসব ষড়যন্ত্র এবং তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন ।