সরাসরি কৃষক পর্যায়ে ধান সংগ্রহ করা হবে — কৃষিমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়ই কৃষকের পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ, বাণিজ্যিকীকরণ এবং কৃষিখাতে সার্বিক সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কৃষিকে লাভজনক পেশায় উন্নীতকরণ এ সরকারের একটি রাজনৈতিক অঙ্গীকার’। কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক আজ তাঁর মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ধানের কম বাজার মূল্যের বিষয়ে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ২০১৭ সালের চাল আমদানির শুল্ক রেয়াতের কারণে চাহিদার অতিরিক্ত চাল আমদানি এবং তার একটা বড় অংশ মজুত থাকা এবং সার, বীজসহ কৃষি উপকরণে সরকার প্রণোদনা প্রদান ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং অনুকূল আবহাওয়া থাকায় আশাতীত উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এ বছর ধানের মূল্য হ্রাস পেয়েছে। কৃষিমন্ত্রী জানান, চাষিদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন করে এবং ধানের ক্রয়মূল্য অগ্রিম নির্ধারণ করে মৌসুমের শুরুতেই সরাসরি কৃষক পর্যায়ে ধান সংগ্রহ শুরু করা হবে। ধান সংগ্রহের পরিমাণ পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি করে ৫০ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করা হবে। এছাড়া সরকারের গুদামের ধারণক্ষমতা পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি করা হবে। চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে ২৮ থেকে ৫৫ শতাংশ। নন ইউরিয়া সারসহ অন্যান্য উপকরণে প্রণোদনা বৃদ্ধি করা হবে। সেচের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিসহ ব্যয় কমানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে প্রণোদনা আরো বৃদ্ধি করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
ড. রাজ্জাক বলেন, কৃষিকে লাভজনক করতে হলে এর যান্ত্রিকীকরণ করতেই হবে। ইতোমধ্যে যান্ত্রিকীকরণ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ৩ হাজার কোটি টাকার যন্ত্র ক্রয়ের সিদ্বান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী বোরো মৌসুমের আগেই ক্রয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার শুরু থেকেই কৃষি গবেষণায় বিশেষ জোর দিয়ে এর বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছে। এর ফলশ্রুতিতে নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন এবং তা মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারিত হওয়ায় ধানের ফলন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। বোরো ধানের মূল্য কম হওয়ায় বিষয়টি সরকারের নিকট গ্রহণযোগ্য নয়। কৃষক কঠোর পরিশ্রম করে, তার সকল সম্পদ বিনিয়োগ করে ফসল উৎপাদন করে। তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য একান্ত অপরিহার্য। আগামী দিনে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে এ অবস্থার উত্তরণ করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।