বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ১৬ জ্যৈষ্ঠ (৩০ মে) : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ৩১ মে ‘বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ৩১ মে ২০১৯ ‘বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস এর এবারের প্রতিপাদ্য Tobacco and Lung Health. যার ভাবার্থ ‘তামাকে হয় ফুসফুস ক্ষয়, সুস্বাস্থ্য কাম্য তামাক নয়’ অত্যন্ত যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
তামাক মানুষকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করে। ধূমপানকে বলা হয় মাদক সেবনের প্রবেশ পথ। তামাক সেবনের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম মাদকের দিকে ধাবিত হয়ে পরিবার ও রাষ্ট্রের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তামাক ও ধূমপান ধূমপায়ীর পাশাপাশি পরোক্ষভাবে অধূমপায়ীকেও সমানভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তামাকের কারণে পৃথিবীতে প্রতিবছর ৭০ লক্ষাধিক মানুষ অকালে মারা যায়। টোব্যাকো অ্যাটলাসের তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশে প্রতিবছর ১ লক্ষ ৬১ হাজার মানুষ তামাক ব্যবহারজনিত অসুখে মৃত্যুবরণ করে। তামাক ব্যবহারজনিত অসুস্থতা দেশের চিকিৎসা সেবার ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তাই তামাক প্রতিরোধে সমাজের সর্বস্তরে এর ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা অত্যন্ত জরুরি।
পাশাপাশি তামাক ও ধূমপান সংক্রান্ত আইন ও বিধি বিধানের সঠিক প্রতিপালন নিশ্চিত করতে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। তামাক ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করতে সচেতন নাগরিক সমাজ, তামাক ও ধূমপান বিরোধী বিভিন্ন সংগঠন ও সর্বোপরি গণমাধ্যমগুলোর সমন্বিত প্রয়াস অত্যন্ত জরুরি। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা একটি তামাক ও ধূমপানমুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো – এ প্রত্যাশা করি।
আমি ‘বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সফলতা কামনা করছি। খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”