প্রধান মেনু

বাঙালি সংস্কৃতির মমতা রুখবে নারী নির্যাতন —তথ্য প্রতিমন্ত্রী

মমতাময় বাঙালি সংস্কৃতির যত্নবান চর্চা নারী নির্যাতন রুখতে অনবদ্য ভূমিকা রাখতে পারে এবং এজন্য সংস্কৃতিচর্চা বৃদ্ধি করতে হবে, বলেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান । আজ বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে গণগ্রন্থাগার ভিআইপি সেমিনার হলে বঙ্গীয় সাহিত্য-সংস্কৃতি সংসদ আয়োজিত ‘নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সংস্কৃতির ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় উদ্বোধকের বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

‘বাঙালি সংস্কৃতিতে নারীকে কখনো খাটো করে দেখা হয়নি, বরং নারীকে সম্মান ও স্তুতি জানিয়ে রচিত হয়েছে সাহিত্য, নৃত্য, গীত ও নানাকলা’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘নারী নির্যাতন আমাদের সংস্কৃতিবিরোধী। কোনো সংস্কৃতিবান মানুষ নারী নির্যাতন করতে বা একে সমর্থন করতে পারেনা। এজন্য জনগণের মাঝে সংস্কৃতিচর্চা আরো ছড়িয়ে দিতে হবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘চার হাজার বছরের ঐতিহ্যম-িত বাঙালি সংস্কৃতি হচ্ছে মমতা ও নারী-পুরুষের সহমর্মিতার ধারক ও বাহক। আদিকাল থেকেই এদেশের কিষাণ-কামার-কুমার-তাঁতী-জেলে যখন কাজ করে, তাদের গৃহবধুরা তাদের জন্য খাবার তৈরি করে পৌঁছে দেয়, একসাথে তারা ধান ভাঙে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে। এ এক অপূর্ব সহাবস্থান সেই তখন থেকে চলে আসছে।’

সেই সাথে সকল ধর্মেও নারীদের সম্মান দিতে বলা হয়েছে, উল্লেখ করে ডা. মো. মুরাদ হাসান বলেন, ‘সংস্কৃতি ও ধর্মচর্চা উভয়েই মানুষের সুকুমারবৃত্তিকে জাগ্রত রাখে, যা নারী নির্যাতন রোধে একন্ত জরুরি।’ কবি অসীম সাহার সভাপতিত্বে ও ড. শাহদৎ হোসেন নিপু’র সঞ্চালনায় ড. মাসুদ পথিক, কবি আসলাম সানী, সংস্কৃতিকর্মী এফ এম শাহীন প্রমুখ সভায় বক্তব্য রাখেন।