প্রধান মেনু

বিজিসিসিআই আয়োজিত সেমিনারে শিল্পমন্ত্রী সকল অংশীজনের সাথে আ‌লোচনা ক‌রে নতুন শিল্পনী‌তি প্রণয়ন করা হ‌বে

শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের সাথে আ‌লোচনা ক‌রে ব্যবসাবান্ধব, আধু‌নিক ও যুগে‌াপযোগী একটি শিল্পনী‌তি প্রণয়ন করা হ‌বে ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেন, ১৯৭২ সালের শিল্পনী‌তি‌কে ঘষামাঝা ক‌রেই দেশের বর্তমান শিল্পনী‌তি চলছে। সব স্টেকহোল্ডা‌রের সাথে আ‌লোচনা ক‌রে বাস্তবতার নিরিখে নতুন শিল্পনী‌তি প্রণয়ন করা হ‌বে।

মন্ত্রী গতকাল রাজধানীর ও‌য়ে‌স্টিন হো‌টেলে বাংলাদেশ-জার্মান চেম্বার অভ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিজিসিসিআই) আ‌য়ো‌জিত ‘বাংলাদেশে শিল্পায়ন: পরবর্তী ধাপ’ শীর্ষক সে‌মিনার ও ইফতার মাহ‌ফি‌লে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বিজিসিসিআই’র সভাপতি ব্যারিস্টার ওমর সাদাতের সভাপ‌তি‌ত্বে অনুষ্ঠা‌নে সেমিনারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এন‌বিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মোঃ আমিনুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিজিসিসিআই’র সিনিয়র সহসভাপতি গোলাম মোর্শেদ, সহসভাপতি মোঃ মুইন উদ্দিন মজুমদার, পরিচালক মোঃ আনোয়ার শহীদ, নির্বাহী পরিচালক এম এ মতিন, ইন‌সেপ্টার ব্যবস্থাপনা প‌রিচালক আব্দুল মুকতা‌দির উপস্থিত ছিলেন। জার্মানিকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় রপ্তানি বাজার উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী ব‌লেন, বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে।

২০১৭ সালে তা ৬ দশমিক শূন্য ৮ বিলিয়ন ইউরোতে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশের টেক্সটাইল, গণপরিবহন, জ্বালানি, লজিস্টিক ও নির্মাণ শিল্পখাতে জার্মানির উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ রয়েছে। তিনি জার্মানিকে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করেন এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ জোরদার করতে বিজিসিসিআই সদস্যদের ভূমিকা বৃদ্ধির তাগিদ দেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া ব‌লেন, জার্মান বাংলাদেশের অন্যতম ব্যবসায়িক সঙ্গী। এ দেশের সাথে বাংলাদেশের আমদা‌নি- রফতা‌নি অ‌নেক বে‌শি। এর পরিমাণ বাড়া‌তে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সব ধর‌ণের সহ‌যো‌গিতা করবে বলে তিনি‌ জানান। বিজিসিসিআই’র সভাপতি ব্যারিস্টার ওমর সাদাত জাতীয় শিল্পনী‌তিকে ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এর মাধ্যমে জার্মানিসহ ইউরোপের দেশগুলো থেকে বাংলাদেশের উদীয়মান শিল্পখাতে বিনিয়োগ আসবে।

এতে বাংলাদেশসহ বিনিয়োগকারী দেশগুলো লাভবান হবে। তিনি তৈ‌রি পোশাক, চামড়া ও চামড়া জাত পণ্য, তথ্যপ্রযু‌ক্তি, ওষুধ, প্রক্রিয়াজাত কৃ‌ষি খাদ্যপণ্যসহ সম্ভাবনাময় শিল্পখাতগুলোকে অগ্রা‌ধিকার দি‌য়ে এক‌টি যুগে‌াপযোগী শিল্পনী‌তি প্রণয়‌নের প্রয়োজন ব‌লে অভিমত ব্যক্ত করেন।