বগুড়ায় বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে কৃষকের মৃত্যু, কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ

বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুরে জমিতে ধান কাটতে গিয়ে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে এক কৃষক। সোমবার (২০মে) দুপুরের পর বগুড়ার শেরপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের খানপুর মধ্যপাড়া মাঠে এই ঘটনা ঘটে। জানা যায় জমিতে ধান কাটছিলেন একদল কৃষক। এসময় বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনের খুঁটি টানা দেয়া তারে আচমকা জড়িয়ে যান কৃষক ইদ্রিস আলী ঘোতা (৪০)। এতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান তিনি। তিনি একই গ্রামের মৃত শাহজাহান আলীর ছেলে। শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতোয়ার রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, উপজেলার খানপুর মধ্যপাড়া গ্রামে বিদ্যুতায়নের জন্য জমির মধ্যেখুঁটি পোতা হয়।
একইসঙ্গে সেই খুঁটিটি সোজা রাখার জন্য অতিরিক্ত তার দিয়ে টানা দেয়া হয়। কিন্তু গত শুক্রবার ঝড়ের পর বিদ্যুত সঞ্চালন লাইনের তারের সঙ্গে খুঁটি টানা দেয়া তার লেগে বিদ্যুতায়িত হয়। সোমবার দুপুরের পর মাঠে ধান কাটার একপর্যায়ে আলম নামের এক কৃষক প্রথমে বিদ্যুতের শক খায়। তাকে বাঁচাতে গিয়ে ইদ্রিস আলী নামে ওই কৃষক বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যান। এতে বিদ্যুকস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। এরপর স্থানীয় লোকজন দ্রুত উদ্ধার করে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে এই কর্মকর্তা জানান। স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আওতাভুক্ত নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির স্থানীয় অফিসের কর্মকর্তা- কর্মচারীদের দায়িত্ব অবহেলার কারণে কৃষক ইদ্রিস আলীর মৃত্যু হয়েছে।
কারণ ঝড়ের পর বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ঠিকমত পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করেই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে এ উপজেলায় একাধিক ঝুঁকিপুর্ণ খুঁটি ও সঞ্চালন তারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলেও সেদিকে নজর দিচ্ছে না স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগের কর্তা ব্যক্তিদের। তাই এ ধরণের ঘটনা ঘটছে বলে তারা অভিযোগ করেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নেসকোর শেরপুর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ফরিদুল হাসান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বাড়ির সার্ভিস তারে স্পৃষ্ট হয়ে ওই ব্যক্তি মারা গেছেন। এতে তাদের কোন অবহেলা নেই বলে দাবি করেন তিনি।